রবিবার, ৬ মে, ২০১২

গৌরনদীতে কেরোশিন ঢেলে আগুন দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা!


গৌরনদী প্রতিনিধি :বেপরোয়া চলাফেরায় বাঁধা দেয়ার কারণে গত শনিবার সকালে গৌরনদী উপজেলার উত্তর শরিকল গ্রামে এক সন্তানের জননী সিমু বেগম সীমা  (২৬) নিজের শরীরে কেরোশিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ এই গৃহবধুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ১১ বছর পূর্বে উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের মৃত একেএম গিয়াস উদ্দিন খাঁনের মেয়ে সিমু বেগম সীমা একই উপজেলার উত্তর শরিকল গ্রামের মৃত শামছুল হক বিশ্বাসের পুত্র কিসলু বিশ্বাসের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। দাস্পত্য জীবনে তাদের সংসারে ৬ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত দুই বছর ধরে কিসলু বিশ্বাসের কথার অবাধ্য হয়ে সীমা বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বেপরোয়া চলাফেরার কারণে কিসলু বুধবার সীমাকে মারধর করে। অভিমান করে বৃহস্পতিবার সীমা পাশ্ববর্তী শরিকল গ্রামে তার ফুফাত ভাই বশির মিয়া ও স্বপনের বাড়িতে গিয়ে উঠে। এ খবর পেয়ে শুক্রবার কিসলু ওই বাড়িতে গিয়ে সিমাকে শাসিয়ে আসে। সীমার ফুফাত ভাই স্বপন মিয়া জানান, শনিবার সকালে তার বড় ভাইয়ের মেয়ে ঐশি খানমকে সীমা তার পুত্র ছামীকে আনতে কিসলুর বাড়িতে পাঠায়। ঐশি খানম জানান, সকাল ৮টার দিকে তার এক বান্ধবিকে নিয়ে কিসলুর বাড়িতে যায়। এ সময় ছামীকে তাদের সাথে চাইলে কিসলু ও তার বাড়ির লোকজন  গালাগাল করে ছামীকে না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। ঐশি বাড়ি ফিরে বিষয়টি সীমাকে জানায়। সীমা বুকের ধন ছামীকে না পেয়ে ওই দিন সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ফুফাতো ভাইদের বাড়ির পাশে বাগানের মধ্যে গাছের সাথে কাপড় দিয়ে নিজেই শরীর বেঁধে নিজের গায়ে নিজে কেরোসিন ঢেলে আগুন অগ্নিসংযোগ করে। আগুনের লেলিহান শিখা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়লে সীমা ডাক-চিৎকার শুরু করে। পার্শ্ববর্তী মাঠের শ্রমিকরা এসে আগুন নিভায়। এতে সীমার শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে (পুড়ে) গেছে। মুমুর্ষ অবস্থায় সীমাকে প্রথমে গৌরনদী ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার গভীর রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. শাহজালাল খলিফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। লোক মুখে শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি সাধারণ ডায়রি করেছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন