রবিবার, ৬ মে, ২০১২

আন্তঃউপজেলা মাদক মাফিয়া চক্র সক্রিয়!

কালকিনি (মাদারীপুর) সংবাদদাতা ঃমাদারীপুরের কালকিনিতে আন্তঃ উপজেলা মাদক মাফিয়া চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ কোনো অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় মাদক মাফিয়ারা নিরাপদ রুট হিসেবে কালকিনি উপজেলা ব্যবহার করছে। মাদকদ্রব্যের বড় বড় চালান এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় আনা-নেয়া করা হচ্ছে। ২০টি স্পটে অবাধে বিক্রি হচ্ছে মদ, গাঁজা, ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও ড্যান্ডিসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্য। মাসিক আইনশৃঙ্গলা কমিটির সভাও একাধিকবার মাদকদ্রব্যর ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা  হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের গৌরনদী ও মুলাদী, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া, শরীয়তপুরের ডামুড্যা ও মাদারীপুর জেলা সদর উপজেলার সাথে কালকিনি উপজেলায় মাদক মাফিয়ারা আন্তঃ সম্প্রর্ক শক্তিশালী তৈরি করে বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। কালকিনির ভূরঘাটা, ভাউতলি, গোপালপুর, পাথরিয়ারপাড়, ভাঙ্গা ব্রীজ, সিডিখাঁন, আন্ডারচর, সমিতির হাট, কাঁচিকাটা লঞ্চঘাট, সূর্যমনি, ফাসিয়াতলা, মোল্লারহাট, পাতাবালি ও রাজদীসহ ২৫থেকে ৩০টি স্পট খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়ে মাফিয়ারা মাদক ব্যবসা জমজমাট করে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে মাদকদ্রব্যের অবাধ ব্যবহার প্রতিরোধে কোনো সাড়াসি অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। এসব বিক্রয় কেন্দ্রে হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যাওয়ায়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মাদক দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়ছে।

জানা গেছে, মাদক সম্রাটদের গ্রেফতারের কয়েক দিন পরই জেল থেকে বেড়িয়ে আসে। এলাকায় আবার তারা মাদকদ্রব্যের অবাধ ব্যবহার শুরু করে দেয়। মাদক সম্রাটদের হাত অনেক বড়। মাদকসহ হাতে নাতে যাদের আটক করা হয় তারা জেল থেকে মুক্তি না পেলেই মাদকদ্রব্য কেনা-বেঁচা বন্ধ করা সম্ভব হবে। গত এক বছরে পুলিশের হাতে অনেক মাদকসেবী আটক হয়েছে তাকে কোন লাভ হয়নি বরং মাদক বেচা-কেনা বেড়েছে কয়েকগুণ।

পুলিশ জানায়, মাদক সম্রাটদের হাত অনেক বড়। মাদকসহ হাতে-নাতে আটক করা হলেও শুপারিশের কোনো অন্ত থাকে না। চুনোপুটি নয় আমরা এখন মাদক মাফিয়াদের খোঁজা হচ্ছে। তাছাড়া পুলিশের একারপক্ষে মাদক প্রতিরোধ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এলাকাবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে, কোনো প্রকার দ্বিধাদন্ধ না করে পুলিশকে ফোনে বা সরাসরি জানাতে। তাহলে যতদ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন