শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

ঝূঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে ৩০ বছর ধরে ১০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াত, চরম ভোগান্তি

এইচ.এম মিলন :

একটি সেতুর জন্য কালকিনি উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের দনি রমজানপুর গ্রামের মন্ডলবাড়ির খালের ওপরের সাঁকো দিয়ে যাতায়াতে দীর্ঘদিন যাবত সাধারণ মানুষ দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এছাড়া ১০ টি গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণির পথচারীসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

জীবনের ঝুকি নিয়ে এলাকার লোকজনকে এ বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। ঝুকিপূর্ণ এ বাঁশের সাকোর ওপর দিয়ে পার হওয়ার ভয়ে মাদ্রাসা ও স্কুলে যেতে চায় না শিার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রমজানপুর ইউনিয়নের দনি রমজানপুর গ্রামের মন্ডলবাড়ির খালের ওপর এই বাঁশের সাঁকোটি স্থানীয় লোকজন নিজ উদ্যোগে কোন মতে ঠিকঠাক করলেও আবার কয়দিন পর ভেঙ্গে পড়ে। এভাবে ভাঙ্গা-গড়ার মধ্য দিয়েই এই এলাকার লোকজন ৩০ বছর ধরে সাঁকোর ওপর দিয়েই যাতাযাত করছে। এই সাঁকো দিয়ে ময়দানেরহাট, কয়রিয়া, মোল¬ারহাট, জজিরা, দনি রমজানপুর, উত্তর রমজানপুর, চড়াইকন্দি, ডিগ্রিরচড়, নতুন টরকী ও হামেদখার হাট স্কুলসহ এলাকার হাজার-হাজার শিার্থী ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে। সাঁকোর ওপর দিয়ে দু’দিক থেকে একেই সঙ্গে লোকজন পারাপারের সময় চড়ম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় পারাপারকারীদের।

ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এসকান্দার শিকদার, ‘হেমলাল মন্ডল ও পিকলু মন্ডল সাঁকো পারাপারের সময় ক্ষোঁভের সঙ্গে বলেন, ‘আমরা নিজেরাই সাঁকো পার হতে সাহস পাই না। আমাদের ছেলে মেয়েরা কিভাবে স্কুলে যাইবো। এখানে কি কোন দিন একটা সেতু হইবো না।’

এ ব্যাপারে রমজানপুর আরতী দুঃস্থ মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের সাধারন সম্পাদক নিখিল ভক্ত বলেন, ‘এই সাঁকো পারাপারের সময় অনেক ছাত্র-ছাত্রী পড়ে গিয়ে মুল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট যায়। আর আমাগো সেবা কেন্দ্রে আসা রোগীদের সাঁকো পার না করে নৌকায় পার করতে হয়। কারণ এই সাঁকোর ওপর ওঠানো সম্ভব হয় না।’

এ ব্যাপারে রমজানপুর ইউপি চেয়াম্যান মহাসিন হোসেন পাইক বলেন, ‘স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কয়েক দফা আলাপ করেছি। সেতুটি নির্মাণের জন্য সব ধরণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
কারামুক্তনেতা মেহেদী হাসান ওসমানকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ

খায়রুল আলম :

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহাকারি ড. আবদুস সোবাহান গোলাপের গণসংযোগে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে আটককৃত পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওসমান আটকের ১৩ দিনের মাথায় ছাড়া পেলেন।

এ সময় তাকে কালকিনি উপজেলা আওয়ামলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নেন এবং মটরসাইকেল বহর দিয়ে জেলগেট থেকে কালকিনিতে নিয়ে আসেন।

বুধবার মাদারীপুর চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতে জামীনের প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক মঞ্জুর করেন। সন্ধায় তিনি জেল থেকে মুক্তি পান।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ আগস্ট সকালে উপজেলার আলীনগর ও এনায়েতনগর এলাকায় ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হামলার শিকার হন ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ। একপর্যায়ে দু’দফার সংর্ঘের ঘটনা ঘটে। এতে দোকানপাট, বাড়িঘর ও মটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় পুলিশ পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওসমানকে আটক করে গোলাপপক্ষের দায়েরকৃত বিস্ফোরক দ্রব্যের মামলায় তাকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়।

হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর ড. আবদুস সোবাহান গোলাপের ফুফাতো ভাই দুলাল বেপারী উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতিদ্বয় সরদার মো: লোকমান হোসেন ও মসিউর রহমান সবুজ এবং মেহেদী হাসান ওসমানসহ সৈয়দ আবুল হোসেনের ১২ জন অনুগত ও সমর্থককে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় মেহেদী হাসান ওসমান বাদে বাকী আসামীরা গত ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে ৪ মাসের আগাম জামীন পান।

বুধবার দুপুরে আদালত জামীন আবেদন মঞ্জুর করার পর থেকেই নেতা-কর্মীরা জেলগেট চত্তরে সমবেত হন।
সৈয়দ আবুল হোসেনের অসমর্থিত গ্রুপের আশ্রয়ে ড. গোলাপ কালকিনিতে!

কালকিনি অফিস :

এবার আর গোপনে নয়, প্রকাশে ড. আবদুস সোবাহান গোলাপকে টেনে নিচ্ছেন সৈয়দ আবুল হোসেনের অসমর্থিত গ্রুপ। গ্রুপটির আশ্রয়ে ড. গোলাপ কালকিনিতে শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেন। এই গ্রুপটি তার নেতৃত্ব মেনে নিয়েছে বলে দু’জন নেতা জানিয়েছে।
সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ আগস্ট উপজেলা আওয়ামীলীগনেতাদের বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ উপজেলার এনায়েতনগর ও আলীনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে সৈয়দ আবুল হোসেনের অনুগত এবং আওয়ামীলীগের সমর্থকদের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার শিকার হন তিনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিঁনি গত ৬ মাস ধরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন করে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ভাঙিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছায় কালকিনিতে প্রচারণা চালাচেছন।
সূত্র জানায়, গত ৩১ আগস্টের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা আওয়ামলীলীগের সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম ফারুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিানার কাছে ড. গোলাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। তারপর থেকে সৈয়দ আবুল হেেেসন সমর্থকদের কাছে শোনা যাচ্ছিল, ড. গোলাপ কালকিনিতে  আর আসবেন না। সৈয়দ আবুল হোসেনের অনুগতরা বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচারও করছে।

সৈয়দ আবুল হোসেনের অসমর্থিত গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র তৌফিকুজ্জামান শাহীন। উপজেলা নির্বাচনের পর তিনি এই গ্রুপটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এছাড়াও সৈয়দ আবুল হোসেনের তৈরি এই গ্রুপটির নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হাসান দোদুল, পৌরসভার মেয়র এনায়েত হোসেন, একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ঢাকায় বিভিন্ন পেশায় জড়িত আওয়ামীধাচের সৈয়দ আবুল হোসেন বিরোধী ব্যক্তিবর্গ এবং উপজেলা আওয়ামলীলীগ ও অংগ সংগঠনের একাংশ। তৌফিকুজ্জামান শাহীন দলে কোণঠাসা এবং এনায়েত হোসেন পৌর যুবলীগের কমিটি থেকে বহিস্কার অবস্থায় রয়েছেন। এ দু’নেতা চেষ্টা করেও সৈয়দ আবুল হোসেনের মান ভাঙাতে পারেননি। গ্রুপটি বর্তমানে জনপ্রিয়তা ও প্রভাবে এগিয়ে রয়েছে। তারা গোপনে ড. আবদুস সোবাহান গোলাপকে সমর্থন দিলেও গত ৩১ আগস্টের ঘটনায় সম্পূর্ণ নিরব ভুমিকা পালন করেছে।

উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সৈয়দ আবুল হোসেনের অনুগতদের বাধার মুখে ড. গোলাপের কালকিনিতে আসা যখন হুমকীর সম্মুখীন ঠিক সেই মূহুর্তে চমক দেখালো এই গ্রুপটি।

জানা গেছে, শনিবার সকাল ১১টায় ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ উপজেলা সার্কিট হাউসে অবস্থান করেন। বিকালে সার্কিট হাউসে ওই গ্রুপ ও বিভিন্ন শ্রেণি মানুষের সাথে সভা করেন। বিকেল ৪টায় কালকিনি প্রেসকাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।
ড. গোলাপকে নিয়ে সৈয়দ আবুল হোসেনের অসমর্থিত গ্রুপের বর্ণিল গাড়িবহর!

মেহেদী হাসান :

প্রায় ৩শতাধিক মটরসাইকেল, ২৫/৩০টি মাইক্রোবাস এবং বেশ কয়েকটি অন্যান্য যাত্রীবাহি যানবাহন দিয়ে মস্তফাপুর থেকে কালকিনি উপজেলা সার্কিট হাউস পর্যন্ত ড. গোলাপকে সাথে নিয়ে বর্ণিল গাড়িবহর করেছে সৈয়দ আবুল হোসেনের অসমর্থিত গ্রুপ।

হামলা শিকার হওয়ার পর ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ কালকিনিতে আর আসতে পারবেন না- সৈয়দ আবুল হোসেনের অনুগতদের এমন চ্যালেঞ্জের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে এই গাড়িবহর করে ওই গ্রুপটি।

জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর ও আলীনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে হামলার শিকার হন। এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে ড. গোলাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম ফারুক, সদস্য লোকমান সরদার ও মসিউর রহমান সবুজ। এরপরই কালকিনিতে সৈয়দ আবুল হোসেনের অনুগতরা প্রচার করে- ড. গোলাপ কালকিনিতে আর আসতে পারবেন না।

সূত্র জানায়, হুমকীস্বরুপ এই অপপ্রচার মেনে নিতে পারেনি আওয়ামীলীগের একাংশ নিয়ে গঠিত সৈয়দ আবুল হোসেনের অসমর্থিত গ্রুপটি। তাই তারা ড. গোলাপের পক্ষ নিয়ে পৌরসভার মধ্যেই বিশাল শোডাউন করে ওই অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে।

গাড়িমহড়ায় নেতৃত্ব দেন অসমর্থিত গ্রুপের দলনেতা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র তৌফিকুজ্জামান শাহীন, লে: কর্ণেল (অব:) বজলুল করিম সেলিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হাসান দোদুল, পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার, প্রতিষ্ঠাতা পৌর প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগনেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস.এম হানিফ প্রমূখ।

শেষে উপজেলা সার্কিট হাউস চত্তরে সমাবেশে তারা বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা যাকে নমিনেশন দিবেন আমরা তার পক্ষে কাজ করবো : ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ

কালকিনি অফিস :

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি আবদুস সোবাহান গোলাপ বলেছেন, ‘মাদারীপুর-৩ আসন, কালকিনিতে আগামীতে শেখ হাসিনা যাকে নমিনেশন দিবেন, যে নৌকার প্রতিক পাবে তার পক্ষে আমরা ইলেকশন করবো, নৌকাকে আমরা পুন:বিজয়ী করবোই। দল যে সিদ্ধান্ত নিবে, দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে আমি নাই।’
শনিবার দুপুরে উপজেলা সার্কিট হাউস চত্তরে এক জনসভায় পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আবদুস সোবাহান গোলাপের আগমন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লে: কর্ণেল (অব:) বজলুল করিম সেলিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান দোদুল কাজী, পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার, সাবেক পৌর প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহীন, ব্যবসায়ী এসএম হানিফ প্রমুখ।
‘আপনারা যদি পরিবর্তন চান তাহলে দাবি করতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনা যাকে নমিনেশন দিবে আমরা দল, মত নির্বিশেষে তার পক্ষে কাজ করতে হবে’ বলেন ড. গোলাপ।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কারো সমালোচনা করি না। আমি যে পজিশনে আছি, আওয়ামীলীগের সেন্ট্রাল কমিটি, শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারি, আমি তার প্রতিনিধি, দলের প্রতিনিধি, আমি দলের কারো বিরুদ্ধে সমালোচনা করলে তার দায় এসে আমার ওপরে পড়ে। তাই একজন সচেতন ব্যক্তি হয়ে, শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারি হয়ে এই ভুলটা করতে পারি না। আমি কারো সমালোচনা করি না তবে আগামীতে কেউ আমার সমালোচনা করলে আমি তা প্রতিহত করবো।’
পৌরবাসীর প্রতি প্রত্যাশা রেখে ড. গোলাপ বলেন, ‘কালকিনিতে ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে শেখ হাসিনাকে আপনারা যেভাবে সহযোগীতা করেছেন আগামী নির্বাচনেও এগিয়ে আসবেন। আগামীতেও শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে জয়ী করবেন।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. গোলাপ যা বললেন. . .

কালকিনি অফিস:
হামলার শিকার হওয়ার ১৫ দিন পর সৈয়দ আবুল হোসেনের অসমর্থিত গ্রুপের আশ্রয়ে কালকিনিতে আসেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ। শনিবার দুপুরে উপজেলা সার্কিট হাউস চত্তরে জনসভায় ড. গোলাপ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার পর বিকালে কালকিনি প্রেসক্লাবে স্থানীয় ও জেলার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়সভা করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

কালকিনিতে সফর কি আপনার ব্যক্তিগত না সরকারি? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. গোলাপ বলেন, ‘আমি যার চাকরী করি তার পারমিশন ছাড়া, তাকে না জানিয়ে, না বলে আমি কোন কাজ করতে পারি না। নিয়মানুযায়ী শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন। এই দিনে এলাকায় আসি, এলাকার সন্তান হিসেবে সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করি।’

আপনার বাবার কবর জিয়ারত করতে এসেছেন না-কি রাজনৈতিক কারণে এসেছেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাড়িতে গেলে আমি মা-বাবার কবর সবসময়ই জিয়ারত করি। আর বাড়িতে আসলে আমি যেহেতু দলের লোক, সরকারের লোক, সরকারের উন্নয়নের কথাতো বলবোই।’

আগামী নির্বাচনে কালকিনি আসন থেকে আপনি কি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আশা করেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত আমার কোন সত্তা নেই। দল যে সিদ্ধান্ত দিবে আমি তা মেনে নেব। দলের জন্য কাজ করে যাব। দলের বাহিরে তো আর আমি যেতে পারি না। দলের যে নমিনেশন পাবে, নৌকার প্রতিক যাকে দেয়া হবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তার জন্য কাজ করবো। এতে সে যেই হোক।’

নমিনেশন না চাইলে তো দল আপনাকে নমিনেশন দিবে না, এক্ষেত্রে নমিনেশন চাওয়ার আপনার ইচ্ছা আছে কি-না? উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। এলাকাবাসী যদি চায় বা এলাকাবাসী না চাইলেতো আমি প্রার্থী হতে পারবো না। সময় সবকিছু বলে দিবে।’

এ সময় তৌকিুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল মতামতের ভিত্তিতে নমিনেশনের জন্য সৈয়দ আবুল হোসেন, ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, অধ্যাপক মেজর (অব:) মজিবুর রহমানের নাম পাঠানো হয়েছিল। দল যাকে দিয়েছে আমরা তার পক্ষে একযোগে কাজ করেছি। আগামীতে দলের কাছে নমিনেশন সবাই চাইতেই পারে কিন্তু দল যে সিদ্ধান্ত দিবে সবাইকে তা মেনে নিতে হবে।’

আপনি যখন কালকিনিতে আসেন তখন সরকারি প্রটোকল ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসেন না ব্যক্তিগতভাবে আসেন? উত্তরে ড. গোলাপ বলেন, ‘আমিতো সরকারের বাহিরে না, কোথায়ও গেলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়েইতো যাব। তবে এটা কোন কমসূচি না, আমি আমার বাড়িতে আসব না?

এ সময় পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন বলেন, ‘ড. গোলাপ ভাই বলেছেন, জনগণ যদি চায় তাহলে তিনি নির্বাচন করবেন, শেখ হাসিনা যদি দল থেকে নমিনেশন দেন। আমাদের কথা হল, শেখ হাসিনা যাকে নমিনেশন দেয় আমরা বারবার তাকে নির্বাচিত করার পর কালকিনির আওয়ামীলীগ ও জনগণ বারংবার বঞ্চিত হচ্ছে। এ কারণে আমরা পরিবর্তন চাই, নতুন মুখ আসুক আমরা প্রত্যাশা করছি। আমি কালকিনি পৌরসভার মেয়র হিসেবে জনগণের পক্ষ থেকে এটা আমার দাবি।
পরিবর্তন চান না-কি দলের জন্য আসছেন? ড. গোলাপকে উদ্দেশ্য করে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট শিল্পপতি এস.এম হানিফ বলেন, ‘ড. গোলাপের সাথে আমরা যারা আছি; সবাই আওয়ামীলীগের পোষ্টধারী।’
 লে: কর্ণেল (অব:) বজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের প্রশ্ন অনেক জটিল। তারপরও বলতে হয়; এখানে আসার আগে, গণসংযোগ করার আগে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের বলা হয়েছে এমনকি এমপি সৈয়দ আবুল হোসেনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।