এইচ এম মিলন :
‘কলেজে আসব, কিন্তু আসতে পারিনা। গেট দিয়ে ঢুকতে পারিনা। ঢুকতে গেলেই বেদে মহিলারা গায়ের জামা টেনে ধরে বলে- এ ভাই ২০ টাকা দে মোরে। টাকা দিতে না চাইলে, ছোট একটি বাক্স থেকে জাতি সাপের বাচ্চা বের করে সামনে ধরে। তখন যেভাবেই হোক ভয় পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে বেদে মহিলাদের টাকা দিতে আমাদের বাধ্য হতে হয়। প্রতিদিন এরকম সাপের ভয় দেখিয়ে ছাত্রসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বেদে মহিলারা জোড় পূর্বকভাবে চাঁদা আদায় করে। এটাতো ভয়ঙ্কর চাঁদাবাজি।’ কথাগুলো ভয়ে ভয়ে বিরক্তিকর সুরে বললেন কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী পলাশ হোসেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কালকিনি পৌর এলাকার পালরদী নদীর পাড়ে বসবাস করছে বেদের দলের লোকজন। বেদের পল্লী থেকে আসা বেদে মহিলারা উপজেলার সকল সরকারি- বেসরকারি অফিসের সামনে ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে সাপের ভয় দেখিয়ে প্রতিদিন প্রত্যেক লোকজনের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয়। এতে করে সাধারণ মানুষের চরম বিপাকে পড়তে হয়। বেদে মহিলাদের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ ভীতস্থ হয়ে তাদেরকে দেখলে রাস্তা থেকে দৌড়ে পালায়। এদের বিরক্তিকর চাঁদাবাজির কারণে উপজেলার সকল শ্রেণির লোকজন চাঁদা দেওয়ার ভয়ে অনেকেই রাস্তায় ওঠাই বন্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে বেদে পল্লীর বেদে রানী বেগমসহ ৩-৪ জনের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, মোরা পেটের দায়ে সাপ দেখিয়ে যে টাকা পয়সা কামাই হয় তা দিয়ে মোরা সংসার চালাই। তা না হলে মোরা পুতপরিজন নিয়ে বাইচ্চা থাহা বড় কষ্ট। এ ছাড়া মোরা টাকা পয়সা পামু কই।
‘কলেজে আসব, কিন্তু আসতে পারিনা। গেট দিয়ে ঢুকতে পারিনা। ঢুকতে গেলেই বেদে মহিলারা গায়ের জামা টেনে ধরে বলে- এ ভাই ২০ টাকা দে মোরে। টাকা দিতে না চাইলে, ছোট একটি বাক্স থেকে জাতি সাপের বাচ্চা বের করে সামনে ধরে। তখন যেভাবেই হোক ভয় পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে বেদে মহিলাদের টাকা দিতে আমাদের বাধ্য হতে হয়। প্রতিদিন এরকম সাপের ভয় দেখিয়ে ছাত্রসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বেদে মহিলারা জোড় পূর্বকভাবে চাঁদা আদায় করে। এটাতো ভয়ঙ্কর চাঁদাবাজি।’ কথাগুলো ভয়ে ভয়ে বিরক্তিকর সুরে বললেন কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী পলাশ হোসেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কালকিনি পৌর এলাকার পালরদী নদীর পাড়ে বসবাস করছে বেদের দলের লোকজন। বেদের পল্লী থেকে আসা বেদে মহিলারা উপজেলার সকল সরকারি- বেসরকারি অফিসের সামনে ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে সাপের ভয় দেখিয়ে প্রতিদিন প্রত্যেক লোকজনের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয়। এতে করে সাধারণ মানুষের চরম বিপাকে পড়তে হয়। বেদে মহিলাদের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ ভীতস্থ হয়ে তাদেরকে দেখলে রাস্তা থেকে দৌড়ে পালায়। এদের বিরক্তিকর চাঁদাবাজির কারণে উপজেলার সকল শ্রেণির লোকজন চাঁদা দেওয়ার ভয়ে অনেকেই রাস্তায় ওঠাই বন্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে বেদে পল্লীর বেদে রানী বেগমসহ ৩-৪ জনের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, মোরা পেটের দায়ে সাপ দেখিয়ে যে টাকা পয়সা কামাই হয় তা দিয়ে মোরা সংসার চালাই। তা না হলে মোরা পুতপরিজন নিয়ে বাইচ্চা থাহা বড় কষ্ট। এ ছাড়া মোরা টাকা পয়সা পামু কই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন