রবিবার, ৬ মে, ২০১২

কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে তীব্র আবাসন সংকট


মিজানুর রহমান ঃউপজেলা পর্যায়ে বৃহত্তম ও মাদারীপুর জেলার সর্বচ্চ বিদ্যাপিঠ কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে তীব্র আবাসন সংকট বিরাজ করছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাধিকবার কলেজের ভবন সম্প্রসারণ করা হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাস নির্মাণ না করায় বিপাকে পড়েছে দুরদুরান্ত থেকে আগত অসংখ্য শিক্ষার্থী।

কলেজের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, কালকিনি কলেজ ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল আবুল হোসেন ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার নিজের নামে নামকরণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেন। এই কলেজটির দিকে তাকিয়ে উন্নয়ন বঞ্চিত উপজেলাবাসী বারবার তাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। ১৯৯৩ সালে বাংলা, গনিত, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, সমাজকল্যাণ, রাষ্ঠ্রবিজ্ঞান ও  দর্শণসহ ১০টি বিষয়ে সম্মান শ্রেণী এবং একাধিক বিষয়ে মাষ্টার্স কোর্স চালু করা হয়। বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখায় ডিগ্রি পাস কোর্স এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী তো আছেই। একাধিক বিষয়ে সম্মান ও মাষ্টার্স কোর্স চালু থাকায় প্রতি বছর বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে থাকে। কিন্তু নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এসব দুরদুরান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে ৩ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ণরত আছে। ৩ তলা বিশিষ্ট ভবন থাকলেও ছাত্রদের জন্য কোনো ছাত্রাবাস নেই। ১ম ও ২য় তলার একাংশ এবং ৩ তলার সম্পূর্ণ ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। ছাত্রাবাস হিসেবে শ্রেণীকক্ষ ব্যবহৃত হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণীর ক্লাশ নিতে শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ছাত্রীদের জন্য ছাত্রীনিবাস তৈরি করা হলেও তা রয়েছে অরক্ষিত। চারিদিকে দেয়াল নির্মাণ না করায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় তাদের থাকতে হচ্ছে। সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও  শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহের হোসেন চৌধুরী কলেজ পরিদর্শণে এলে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা সরকারীকরণ, ছাত্রাবাস সমস্যা, চারিদিকে দেয়াল ও মসজিদ নির্মাণসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরলে তারা দ্রুত সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্র“তি দিয়ে যান। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধানের এখনো কোন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি।

শিক্ষার্থীরা জানায়, “পান্তা খেয়ে অনার্স পড়ি, সৈয়দ আবুল হোসেনকে সালাম করি” প্রথম দিকে শোনা গেলেও কলেজটি সরকারীকরণ ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধান না হওয়ায় এখন আর কারো মুখে এই বুলি শোনা যায় না। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নিকটে ধরণা ধরে সিট না পাওয়ায় শুধুমাত্র পরীক্ষায় উপস্থিত থাকে বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে।

অধ্যক্ষ খালেকুজ্জামান আবাসন সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, অবকাঠামোগত সমস্যার কথা উপরোস্থ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন