
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ ও বি এ কে মামুন:
‘ স্বাধীনতার ৪০ বছর ও শিল্পের আলোয় মহান মুক্তিযুদ্ধ’- স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে মাদারীপুর শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় মাদারীপুর সরকারি নাজিমুদ্দিন কলেজ ও কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ৫ মে সন্ধ্যায় ফরিদপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে কলেজ পর্যায়ের বিভাগীয় নাট্য উৎসবে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটকএকটাই চাওয়া’ মঞ্চস্থ হয়।
আজিজুল ইসলাম স্বপনের রচনায় আ জ ম কামালের নির্দেশনায় এতে অভিনয় করেন মাহমুদা খান লিটা, সাজ্জাদ হোসেন, লুবনা জাহান নিপা, আজিজুল ইসলাাম স্বপন, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, আশিষ রায়, শাকিলা আক্তার, নাহিদুল ইসলাম মুকুল, সঞ্জীব তালুকদার, শান্ত কুমার, মৃণাল কান্তি বালা, নির্মল মন্ডল নিলয়, বি এ কে মামুন, মাইনুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম। সেট ডিজাইনে সৈয়দ মাহবুব, লাইটে জুয়েল, পোশাকে আশরাফুল ইসলাম, মেকাপে আ জ ম কামাল ও শাকিলা আক্তার, দোতারা শচীন, বাঁশি ও তবলা লিয়াকত হোসেন, বেহালা আলাউদ্দিন মঞ্চ ব্যবস্থাপনা বি এম লিটন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মাদারীপুর জেলায় ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনা ফুটে উঠেছে ‘একটাই চাওয়া’ নাটকে। সোলেমান বয়াতির সংসারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যেতে থাকে নাটকের কাহিনী। বাদলের নেতৃত্বে মানিক ও বয়াতিসহ অন্যান্যরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। সোলেমান বয়াতীর স্ত্রী আমিরনের সম্ভ্রম হারানো। পাক হানাদারের নির্যাতনে সাজুর মৃত্যু। যুদ্ধে গিয়ে শেষ অবধি রফিকের ফিরে না আসা। কিশোর বাচ্চুর যুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং শহীদ হওয়া দর্শকদের নাড়া দেয়। রাজাকার ওয়াজেদ আলী ও কেতর আলীর কুদৃষ্টি একাত্তরের পৈশাচিক দৃশ্য ফুটে উঠে। সুফিয়া, বেনু, নুরে আলম পান্না ও শিকদার নুরুল ইসলামের আত্মত্যাগ দর্শকদের আবেগাপ্লুত করে তোলে। সবশেষে বাচ্চুর বাবা, বয়াতী, বাদল ও মানিকের কন্ঠে দৃঢ়তার সাথে উচ্চারিত হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি। অভিনেতাদের সাথে সাথে দর্শকরাও গর্জে উঠে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অঞ্জলী বালা, নাট্য ব্যক্তিত্ব আরিফ হায়দার, আমিরুল ইসলাম রুমী ও মুন্সী মোহাম্মদ আলী রুমী প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন