আকন মোশাররফ হোসেন:কল্যাণ, লেখক, কৃষ্টি ও নৈতিকতা নিয়েই কালকিনি থানা এবং বর্তমানে কালকিনি উপজেলা। ১৭৯৩ সনে লর্ড কর্নওয়ালিসের আমলে দেশের তথা ভারত বর্ষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইন পাশ হয়। ফলশ্র“তিতে সৃষ্টি হয় জমিদার শ্রেণি। জমিদারগণ রাজস্ব আদায় ও স্থানীয় শান্তি-শৃঙ্খলার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। জমিদারগণ বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় জনকল্যাণমূলক কাজ থেকে ক্রমশই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে শান্তি-শৃঙ্খলার পরিবর্তে বহু ক্ষেত্রেই অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এই সময়টি ছিল ১৮৭০ সাল পর্যন্ত। এরপরে কালকিনি অঞ্চলের পট পরিবর্তন ঘটে নতুন আর একটি অধ্যায়ের শুরু হয়।
১৮৭০ সনের পূর্বেকার সময়ে ইংরেজ শাসনের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইনের অধীনে কালকিনি থানা অঞ্চলকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে জমিদার শাসন এলাকা হিসাবে বিভক্ত করে জমিদারী প্রথায় শাসন করেছিল। তখন কালকিনি থানার কতিপয় মুসলমানও জমিদার ছিলেন। তবে মুসলিম জমিদারগণ হাওলাদার ও তালুকদার বংশ বেশি ছিলেন।
কালকিনি উপজেলার ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে সাহেবরামপুর এলাকার জমিদার মিঃ এ্যাওয়ার্ড। শেওলাপট্টি এলাকার জমিদার বৈকুন্ঠ রায় চৌধুরী। বাজিতপুর এলাকার রাজ কুমার মজুমদার। গোপালপুরের জমিদার আঃ রব চৌধুরী। এনায়েত নগরের জমিদার রাজ মোহন দাস। বাঁশগাড়ীর জমিদার ওয়াসেক উদ্দিন তালুকদার। লক্ষ্মীপুরের জমিদার ভগোলা সুন্দরী। লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত জালালপুর পরগনার জমিদার ভগোলা স্দুরীর জমিদারী আওতাভুক্ত। এই জমিদারের বিশ্বস্ত কালেক্টর বা নায়েব ছিলো ‘দামুসা’।
প্রাচীন কালের অনেক কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের নিদর্শন কালকিনি উপজেলায়। সেই ঐতিহ্যকে এখনো এলাকাবাসীর নিদর্শন হিসাবে মেলা বা গোলেয়া এখনো প্রচলিত। প্রতি বাঙলা সনের ৩০ চৈত্র-চৈত্রসংক্রান্তি বা বাংলা বর্ষকে বিদায় এবং নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার লক্ষে জালালপুর পরগোনা এলাকায় ‘দামুসা’ মেলা বসে।
তদ্রুপ কালকিনি উপজেলার শেওলাপট্টি, সিডি খানের বটতলা, রায়পুরের রক্ষাচন্ডি চৈত্রসংক্রান্তিতে মেলা বসে। তবে ভগোলা সুন্দরী প্রিয় ব্যক্তিদের নামে ‘দামুসা’ মেলা ইংরেজ আমল থেকে এখন প্রচলিত। জালালপুরে বা ইদিলপুর পরগোনা নামে বর্তমানে কোন মৌজা নেই। তো সিএস এবং আরএস জমি জরিপের পর্চায় জালালপুর ও ইদিলপুর জমিদার পুর্নেন্দ্রনাথ সরকার নাম ছাপা অক্ষরে প্রমাণিত রয়েছে। অপরদিকে শহীদ তিতুমীরের শহীদ হওয়ার পর হাজী শরীয়ত উল্লাহর ফরায়েজি আন্দোলনের সময় ইংরেজ সেনাপতি ‘ডানলপ’ বাহিনীর সাথে ফরায়েজি বাহিনীর সাথে যুদ্ধের সময় ইংরেজগণ পরাজিত হয়ে পালাবার সময় ‘দামুসা’ নিহত হন।
তারই স্মৃতির স্মরণে জমিদার ভগোলা সুন্দরী মেলার আয়োজন করেছিল তাই মেলার নামকরণ হয় ‘ দামুসা মেলা’।
চলবে-
১৮৭০ সনের পূর্বেকার সময়ে ইংরেজ শাসনের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইনের অধীনে কালকিনি থানা অঞ্চলকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে জমিদার শাসন এলাকা হিসাবে বিভক্ত করে জমিদারী প্রথায় শাসন করেছিল। তখন কালকিনি থানার কতিপয় মুসলমানও জমিদার ছিলেন। তবে মুসলিম জমিদারগণ হাওলাদার ও তালুকদার বংশ বেশি ছিলেন।
কালকিনি উপজেলার ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে সাহেবরামপুর এলাকার জমিদার মিঃ এ্যাওয়ার্ড। শেওলাপট্টি এলাকার জমিদার বৈকুন্ঠ রায় চৌধুরী। বাজিতপুর এলাকার রাজ কুমার মজুমদার। গোপালপুরের জমিদার আঃ রব চৌধুরী। এনায়েত নগরের জমিদার রাজ মোহন দাস। বাঁশগাড়ীর জমিদার ওয়াসেক উদ্দিন তালুকদার। লক্ষ্মীপুরের জমিদার ভগোলা সুন্দরী। লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত জালালপুর পরগনার জমিদার ভগোলা স্দুরীর জমিদারী আওতাভুক্ত। এই জমিদারের বিশ্বস্ত কালেক্টর বা নায়েব ছিলো ‘দামুসা’।
প্রাচীন কালের অনেক কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের নিদর্শন কালকিনি উপজেলায়। সেই ঐতিহ্যকে এখনো এলাকাবাসীর নিদর্শন হিসাবে মেলা বা গোলেয়া এখনো প্রচলিত। প্রতি বাঙলা সনের ৩০ চৈত্র-চৈত্রসংক্রান্তি বা বাংলা বর্ষকে বিদায় এবং নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার লক্ষে জালালপুর পরগোনা এলাকায় ‘দামুসা’ মেলা বসে।
তদ্রুপ কালকিনি উপজেলার শেওলাপট্টি, সিডি খানের বটতলা, রায়পুরের রক্ষাচন্ডি চৈত্রসংক্রান্তিতে মেলা বসে। তবে ভগোলা সুন্দরী প্রিয় ব্যক্তিদের নামে ‘দামুসা’ মেলা ইংরেজ আমল থেকে এখন প্রচলিত। জালালপুরে বা ইদিলপুর পরগোনা নামে বর্তমানে কোন মৌজা নেই। তো সিএস এবং আরএস জমি জরিপের পর্চায় জালালপুর ও ইদিলপুর জমিদার পুর্নেন্দ্রনাথ সরকার নাম ছাপা অক্ষরে প্রমাণিত রয়েছে। অপরদিকে শহীদ তিতুমীরের শহীদ হওয়ার পর হাজী শরীয়ত উল্লাহর ফরায়েজি আন্দোলনের সময় ইংরেজ সেনাপতি ‘ডানলপ’ বাহিনীর সাথে ফরায়েজি বাহিনীর সাথে যুদ্ধের সময় ইংরেজগণ পরাজিত হয়ে পালাবার সময় ‘দামুসা’ নিহত হন।
তারই স্মৃতির স্মরণে জমিদার ভগোলা সুন্দরী মেলার আয়োজন করেছিল তাই মেলার নামকরণ হয় ‘ দামুসা মেলা’।
চলবে-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন