কালকিনি প্রতিনিধি : কয়েক বছর ধরে জেনারেটর বন্ধ, বিদ্যুৎ চলে গেলে কাজ বন্ধ রাখতে হয়। এ সময় রোগীদের যে কিরকম দুর্ভোগ তা বর্ণনা করা যাবে না। কোন উপায় না পেয়ে নিজ উদ্যোগে পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে আইপিএসের লাইন টেনে একটি বাল্ব জ্বালাচ্ছি।’ এমন একটি মহতি উদ্যোগ নিয়েছেন কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ম্যাডিকেল এ্যাসিসটেন্ড সোহরাব আলী। অথচ এই জেনারেটরের বিষয়ে তথ্য আনতে গেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মসিউর রহমান স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের দু’দিন ঘুরিয়েছেন। তার দাবী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে নতুন জেনারেটর জন্য ৪/৫বার আবেদন করেও কোন সুফল পাননি। আশ্চার্যের বিষয়, তিনি এই বন্ধ জেনারেটরের জন্য সরকারি বরাদ্ধের পুরোটাই উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে মসিউর রহমান টগর ২০১০ সালের ৩ মার্চ যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার ও ডাক্তার-সেবীকাদের দায়িত্বে অবহেলায় রোগীরা চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না। বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের অন্ধকারে থাকতে হয়। তীব্র গরমে চরম দূর্ভোগ পোহাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটরের জন্য ২০১১-১২ইং অর্থ বছরের জন্য বরাদ্ধ ছিল ১লক্ষ ১৩ হাজার টাকা। এটি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন সময়ে ১লক্ষ ৯ হাজার ৮৬৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার বলেন, আমি এখানে দুই বছর ধরে এসেছি, কোনদিন জেনারেটর চালু দেখিনি। আমার মনে হচ্ছে, জেনারেটরের টাকা গোপনে মসিউর রহমান টগর স্যারে উত্তোলন করেছেন। সে ছাড়া এ টাকা অন্য কেউ উঠানোর ক্ষমতা রাখে না। প্রতি বছর বরাদ্ধকৃত টাকা উত্তোলন করতে পারে বিধায় জেনারেটর ঠিক করা হচ্ছে না।
মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মসিউর রহমান টগর কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন