শুক্রবার, ১১ মে, ২০১২

কালকিনিতে ৪ গ্রাম পুরুষ শূণ্য, ব্যাপক তল্লাশি, ভাংচুর, অস্ত্র উদ্ধার!

কালকিনি অফিস :
কালকিনি থানার সামনের গ্রাম ঠেঙ্গামারা এলাকায় পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অলিল হাওলাদার ও তার চাচাত ভাই সাবেক পৌর কমিশনার খলিল হাওলাদারের পক্ষের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার সময় অর্ধশতাধিক বোমার বিস্ফোরণের ঘটনায় গত ৩ রাতে পুলিশ ৪টি গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যাপক তল্লাশি করেছে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পুরুষরা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এ সময় পুরুষদের না পেয়ে পুলিশ নারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বাড়িঘর ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খেলার মাঠ ও বোরো ধান ক্ষেত থেকে ৯টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় থানার উপপরিদর্শক ফায়েকুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে থানার সামনের গ্রাম উত্তর ঠেঙ্গামারা এলাকায় মামলার এজাহারভূক্ত আসামী ধরার অভিযানের নামকরে আল-আমিন সরদারের বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভিতরে তল্লাশি করে। এ সময় সে আসামী আল-আমিনকে না পেয়ে বাড়িঘর ভাংচুর এবং নারী ও শিশুদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আল-আমীনের মা তাসলিমা বেগম ও স্ত্রী শাহনাজ বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফায়েকুজ্জামান তল্লাশি করে ঘরের ভিতরে কোন পুরুষ লোক না পেয়ে আমাদের পাকের ঘরের চুলা ভেঙে দিয়েছে। ঘর-দুয়ার পিটাইছে। তার গালিগালাজের ভাষা শুনে এখন আত্মহত্যা করে মরে যেতে ইচ্ছে করছে।’
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে ঠেঙ্গামারা. উত্তর ঠেঙ্গামারা, পাতাবালি ও পাঙ্গাশিয়া গ্রামের পুরুষরা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। এলাকায় পুরুষ লোক না থাকায় বোরো ধান কাটতে না পারায় পেকে জমিতে পড়ে যাচ্ছে। ভাংচুরের বিষয়টি স্বীকার করে ফায়েকুজ্জামান বলেন, ভাংছি ভাল হয়েছে। আল-আমিন ৬/৭টি মামলার আসামী, ওর আবার চুলার বা বাড়িঘরের দরকার কি?
ওসি শাহীন মন্ডল জানান, রবিববার রাতে পাতাবালি খেলার মাঠ ও একই এলাকার দেলোয়ার সরদারের বোরো ধানের ক্ষেত থেকে ৭টি ল্যাজা ও ২টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। থানায় দায়েরকৃত উভয়পক্ষের ২টি মামলায় এ পর্যন্ত ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য সার্বোক্ষনিক পুলিশের ৩/৪টি টিম কাজ করছে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন