শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. গোলাপ যা বললেন. . .

কালকিনি অফিস:
হামলার শিকার হওয়ার ১৫ দিন পর সৈয়দ আবুল হোসেনের অসমর্থিত গ্রুপের আশ্রয়ে কালকিনিতে আসেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ। শনিবার দুপুরে উপজেলা সার্কিট হাউস চত্তরে জনসভায় ড. গোলাপ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার পর বিকালে কালকিনি প্রেসক্লাবে স্থানীয় ও জেলার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়সভা করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

কালকিনিতে সফর কি আপনার ব্যক্তিগত না সরকারি? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. গোলাপ বলেন, ‘আমি যার চাকরী করি তার পারমিশন ছাড়া, তাকে না জানিয়ে, না বলে আমি কোন কাজ করতে পারি না। নিয়মানুযায়ী শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন। এই দিনে এলাকায় আসি, এলাকার সন্তান হিসেবে সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করি।’

আপনার বাবার কবর জিয়ারত করতে এসেছেন না-কি রাজনৈতিক কারণে এসেছেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাড়িতে গেলে আমি মা-বাবার কবর সবসময়ই জিয়ারত করি। আর বাড়িতে আসলে আমি যেহেতু দলের লোক, সরকারের লোক, সরকারের উন্নয়নের কথাতো বলবোই।’

আগামী নির্বাচনে কালকিনি আসন থেকে আপনি কি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আশা করেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত আমার কোন সত্তা নেই। দল যে সিদ্ধান্ত দিবে আমি তা মেনে নেব। দলের জন্য কাজ করে যাব। দলের বাহিরে তো আর আমি যেতে পারি না। দলের যে নমিনেশন পাবে, নৌকার প্রতিক যাকে দেয়া হবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তার জন্য কাজ করবো। এতে সে যেই হোক।’

নমিনেশন না চাইলে তো দল আপনাকে নমিনেশন দিবে না, এক্ষেত্রে নমিনেশন চাওয়ার আপনার ইচ্ছা আছে কি-না? উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। এলাকাবাসী যদি চায় বা এলাকাবাসী না চাইলেতো আমি প্রার্থী হতে পারবো না। সময় সবকিছু বলে দিবে।’

এ সময় তৌকিুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল মতামতের ভিত্তিতে নমিনেশনের জন্য সৈয়দ আবুল হোসেন, ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, অধ্যাপক মেজর (অব:) মজিবুর রহমানের নাম পাঠানো হয়েছিল। দল যাকে দিয়েছে আমরা তার পক্ষে একযোগে কাজ করেছি। আগামীতে দলের কাছে নমিনেশন সবাই চাইতেই পারে কিন্তু দল যে সিদ্ধান্ত দিবে সবাইকে তা মেনে নিতে হবে।’

আপনি যখন কালকিনিতে আসেন তখন সরকারি প্রটোকল ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসেন না ব্যক্তিগতভাবে আসেন? উত্তরে ড. গোলাপ বলেন, ‘আমিতো সরকারের বাহিরে না, কোথায়ও গেলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়েইতো যাব। তবে এটা কোন কমসূচি না, আমি আমার বাড়িতে আসব না?

এ সময় পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন বলেন, ‘ড. গোলাপ ভাই বলেছেন, জনগণ যদি চায় তাহলে তিনি নির্বাচন করবেন, শেখ হাসিনা যদি দল থেকে নমিনেশন দেন। আমাদের কথা হল, শেখ হাসিনা যাকে নমিনেশন দেয় আমরা বারবার তাকে নির্বাচিত করার পর কালকিনির আওয়ামীলীগ ও জনগণ বারংবার বঞ্চিত হচ্ছে। এ কারণে আমরা পরিবর্তন চাই, নতুন মুখ আসুক আমরা প্রত্যাশা করছি। আমি কালকিনি পৌরসভার মেয়র হিসেবে জনগণের পক্ষ থেকে এটা আমার দাবি।
পরিবর্তন চান না-কি দলের জন্য আসছেন? ড. গোলাপকে উদ্দেশ্য করে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট শিল্পপতি এস.এম হানিফ বলেন, ‘ড. গোলাপের সাথে আমরা যারা আছি; সবাই আওয়ামীলীগের পোষ্টধারী।’
 লে: কর্ণেল (অব:) বজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের প্রশ্ন অনেক জটিল। তারপরও বলতে হয়; এখানে আসার আগে, গণসংযোগ করার আগে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের বলা হয়েছে এমনকি এমপি সৈয়দ আবুল হোসেনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন