বুধবার, ৬ জুন, ২০১২

যৌতুক লোভী স্বামীর কান্ড

এইচ এম মিলন :
মোর বিয়ার বয়স দুই বছর, স্বামীর চলা ফেরা এবং কি চরিত্র ভালো না। সময় অসময় নাই  তাস, জুয়া খেলিয়া নেসা করিয়া আজে বাজে মেয়েদের সাথে মেলা মেশা করিয়া রাতে বাড়ি ফেরে। মুই বাধা দিলে মোর হাত-পা বেধে চুলের মুটকি ধরে রাত ভর মাড় ধোর করে। আর বলে আমার এ সব কাজে বাধা দিলে তোর বাবা বাড়ি থেকে দুই লক্ষ টাকা আনবি নইলে তোরে খুন কইরা ফেলাইমু। মোর বাবা মা নাই মুই অসহায় এত টাকা কোথায় পাইমু। এ যৌতুকের টাকা না দিতে পেরে মুই দিনের পর দিন নির্যাতন সইতে না পেরে এর কোন সঠিক বিচার না পেয়ে পালিয়ে খালুর বাড়িতে আশ্রায় নিয়াছি। ভাই মোরে আপনারা যৌতুক লোভী স্বামীর হাত থেকে বাচান। কথা গুলো কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন, মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার লক্ষিপুর পখিরা গ্রামের শামিম আরা বেগম-(১৯)।
গতকাল রোববার সকালে এলাকা, অভিযোগ ও মামলা সুত্রে যানা গেছে, পৌর এলাকা লক্ষিপুর পখিরা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে শামিম আরার সাথে একই এলাকার আঃ ছালাম ঢালীর ছেলে খায়রুল আলমের ইসলামী শরীয়াত মোতাব্কে রেজিঃ কৃত ভাবে  আনুষ্ঠানিকের মধ্যে দিয়ে গত ১৬/০৯/২০১০ সালে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের সময় স্বর্নের গহনাদি ও খায়রুল আলমকে নগদ ৭০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এর পর থেকে দুজনের সংসার ভালো ভাবেই চলতে থাকা অবস্থায় খায়রুল বিভিন্ন মেয়েদের সাথে খারাপ কাজ ও তাস জুয়া খেলায় মেতে ওঠে। এ সব কাজে সামিম আরা বাধা দিলে তাকে বাবা বাড়ি থেকে দুই লক্ষ  টাকা আনার জন্য বার-বার চাপ দিতে থাকে। এ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে খায়রুল,তার ভাই সাইফুল ও মা বিউটি বেগম মিলে শামিম আরাকে বেদম ভাবে মাড় পিট করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে কালকিনি বেবির হাসপাতাল চিৎকিসা করানো হয়। এর পর সামিম আরা মৃত্যুর ভয়ে পালিয়ে তার খালু বাশার মুন্সির বাড়িতে বর্তমানে আশ্রায় নেয়। এ ব্যাপারে শামিম আরা বাদী হয়ে মাদারীপুর কোর্টে ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, খায়রুল আলম-(২৬) সাইফুল ইসলাম-(২৯) ছালাম ঢালী-(৫০) বিউটি বেগম-(৪৫) ও শহিদুল ঢালী-(৪২)। এদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়া সত্বে ও কালকিনি পুলিশ এদের কাউকে গ্রেপ্তার করছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সামিম আরার খালু বাশার মুন্সি জানান, যেীতুকের জন্য এ অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে সামিম আরা পালিয়ে আমার বাড়িতে এসেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। এ ব্যাপারে খায়রুলের সাথে বার-বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন