শহিদুল ইসলাম :
কালকিনিতে ৮বছর ধরে খাসেরহাট বন্দরের খাদ্যগুদাম বন্ধ রয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। পুনরায় খাদ্যগুদামটি চালু করার আবেদন করেছে বণিক সমিতি ও এলাকাবাসী।
উপজেলা খাদ্যগুদাম অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলা সদরের সাথে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের যোগাযোগে বিছিন্ন থাকায় প্রত্যন্তাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাসেরহাট বন্দরে ১৯৭৮ সালে খাদ্যগুদাম
কালকিনি উপজেলার বাশগারী ইউনিয়নের খাশেরহাট বন্দরের খাদ্যগুদামটি ফের চালু করার জন্য বনিক সমিতি ও এলাকার সাধারন মানুষ ডিসিফুট এর কাছে আবেদন করেছে। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্টিত খাদ্যগুদাটি ২০০৪ সাল পযর্ন্ত সুনামের সাথে এর কার্য্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গুদামটি দীর্ঘ ৮ বছর বন্ধ রয়েছে। নদীর পার ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য নদীর পারে ১৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ইট,বালু ও সিমেন্টের তৈরী ব্লক বিছানো হয়। হাটের দক্ষিন পাশ থেকে উত্তর দিকে ব্লক বিছানোর ফলে গত ৮ বছর ধরে নদী ভাঙ্গা বন্ধ আছে। নদী গবেষনাগারের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে আর নদীর পার ভাঙ্গবেনা। এছাড়াও আরিয়ালখা নদীর উপরে যে সেতুটি নির্মান হচ্ছে তার দুই সাইডে যে প্রাচির তৈরী করা হবে তা গুদামের কাছ পর্যন্ত চলে আসবে অতএব নদীর পার ভাঙ্গার আর কোন সুযোগ নেই। গুদামটি চালুকরার জন্য বনিক সমিতি ও স্থানীয গন্যমান্য ব্যাক্তিরা মাদারীপুর জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা (ডিসি ফুট) এর নিকট আবেদন করেছেন। ধারনা করা হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে গুদামটি চালু হবে বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে। ১৯৭৮ সালে এই গুদামটি সাহেবরামপুরে নির্মান করার জন্য ততকালিন মন্ত্রী কামাল ইবনে ইউসুব, ও মান্নান সিকদার দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নেন। দাতাসংস্থা দেশ কানাডার প্রতিনিধি মাইকেল ক্যাথেলীন তিনি গুদাম নির্মানের জমিদেখার জন্য মাদারীপুর থেকে ট্রলার যোগে সাহেবরামপরে যাওয়ার পথে খাশেরহাটের সামনে এসে নদীতে জেলেদের ইলিশ মাছ ধরতে দেখে তিনি ইলিশ মাছ খাওয়ার মত প্রকাশ করেন। ওখান থেকে ইলিশ মাছ কিনে সাহেবরামপুর গিয়ে ঘি দিয়ে রান্নাকরে তিনি খান। সেখান থেকে ফিরে কানাডার প্রতিনিধি মেহের মুনসুর তৎকালিন (ডিসি ফুট মাদারীপুর) তার কাছে মত প্রকাশ করলেন খাশেরহাট বন্দর একটা ভাল যায়গা নদীর পাসে ওখানে কেন গুদাম নির্মান করা যাবেনা। তখন মজিবুর রহমান মন্টুর নিকট ডিসিফুট বল্লেন তুমি জমি দিতে পারবা কিনা, জমিদিতে পারলে তোমাদের ওখানেই গুদাম নির্মান করা হবে। তখন মন্টু সরদার তাকে বললেন আমাকে একদিনের সময় দিলে আমি আপনাকে জানাতে পারবা। নদীর পাসে আমাদের জমি না থাকায় আমার বাবা মৃত হাজী হাসেম সরদার ও মজিবার খাঁর চাচা হাসমত আলী খাঁর সাথে জমির এওয়াজ করে দুজনে মিলে সরদার ও খাঁ বংশের প্রায় ২০/২৫ জনের কাছ থেকে ১একর ৬৬ শতাংশ জমি দান দলিল দিয়ে এই খাদ্যগুদাম নির্মান করা হয়। ঐ সময় মান্নান সিকদার (মন্ত্রী) আমার সাথে রাগ করে ছিলেন আমি এক পর্যায়ে চাকুরী ছেড়ে চলে এসেছিলাম এই খাদ্যগুদামটির জন্য পরে তিনি আমাকে ডেকে পাঠালে আবার চাকুরীতে যোগদান করি। এই গুদামটি নদীর পাশে হওয়ায় এখান থেকে গম,চাল বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়। গুদামটি চালু হলে এখানে অনেক বেকার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এই সরকারের প্রধান কাজ হিসেবে বেকার সমস্য দুরি করনার্থে খাশেরহাট খাদ্যগুদামটি চালু করা প্রয়োজন। এলাকাবাসী উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন যতদ্রুত সম্ভব গুদামটি চালু করার ব্যবস্থা করে কিছুটা হলেও বেকার সমস্যা দুর করার ব্যাবস্থা করবেন।
খাশেরহাট বন্দর বনিক সমিতির সাধারন সম্পদক মজিবুর রহমান খাঁ বলেন, আমরা আমাদের জমি দান করে গুদাম নির্মানের ব্যাবস্থা করেছি। দীঘ ৮বছর হল গুদামটি বন্ধ আছে এটা চালু হওয়া জরুরী। সরকারের কাছে আবেদন এটা চালু হলে এখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে।তাই যতদ্রুত সম্ভব খাদ্যগুদামটি পুনরায় চালু করা হোক।
খাশেরহাট বন্দর বনিক সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান মন্টু সরদার বলেন, বাশগাড়িতে আচকে যে প্রতিষ্ঠান গুলো দেখতেছেন তার সকল সম্পত্তি সরদার আর খান বংশের। দানকৃত জমিতে খাদ্যগুদাম,হাসপাতাল,পুলিশ তদন্তকেন্দ্র,তহসিল অফিস,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন সহ খাশেরহাট বন্দর নির্মিত হয়েছে। সরদার ও খান বংশের দীর্ঘ ৮০ বছরের শত্রুতার অবসান ঘটাইয়া আমি আর মজিবার খান একই সাথে একটেবিলে বসে চা খাই। আমরা যদি একসাথে থাকি আমরা এই বাশগাড়িতে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান করতে পারবো। আমি কথাগুলো এই কারনে বল্লাম আমরা জমি দিয়েছি প্রতিষ্ঠানের নামে সেটা যদি বন্ধ থাকে তাহলে আমাদের জমি গুলো আমাদের ফিরিয়ে দেয়া হোক। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করবো যতদ্রুত সম্ভব খাদ্যগুদামটি চালু করার ব্যাবস্থা করে কিছু লোকের বেকারত্ব ঘোচান।
কালকিনিতে ৮বছর ধরে খাসেরহাট বন্দরের খাদ্যগুদাম বন্ধ রয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। পুনরায় খাদ্যগুদামটি চালু করার আবেদন করেছে বণিক সমিতি ও এলাকাবাসী।
উপজেলা খাদ্যগুদাম অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলা সদরের সাথে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের যোগাযোগে বিছিন্ন থাকায় প্রত্যন্তাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাসেরহাট বন্দরে ১৯৭৮ সালে খাদ্যগুদাম
কালকিনি উপজেলার বাশগারী ইউনিয়নের খাশেরহাট বন্দরের খাদ্যগুদামটি ফের চালু করার জন্য বনিক সমিতি ও এলাকার সাধারন মানুষ ডিসিফুট এর কাছে আবেদন করেছে। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্টিত খাদ্যগুদাটি ২০০৪ সাল পযর্ন্ত সুনামের সাথে এর কার্য্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গুদামটি দীর্ঘ ৮ বছর বন্ধ রয়েছে। নদীর পার ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য নদীর পারে ১৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ইট,বালু ও সিমেন্টের তৈরী ব্লক বিছানো হয়। হাটের দক্ষিন পাশ থেকে উত্তর দিকে ব্লক বিছানোর ফলে গত ৮ বছর ধরে নদী ভাঙ্গা বন্ধ আছে। নদী গবেষনাগারের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে আর নদীর পার ভাঙ্গবেনা। এছাড়াও আরিয়ালখা নদীর উপরে যে সেতুটি নির্মান হচ্ছে তার দুই সাইডে যে প্রাচির তৈরী করা হবে তা গুদামের কাছ পর্যন্ত চলে আসবে অতএব নদীর পার ভাঙ্গার আর কোন সুযোগ নেই। গুদামটি চালুকরার জন্য বনিক সমিতি ও স্থানীয গন্যমান্য ব্যাক্তিরা মাদারীপুর জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা (ডিসি ফুট) এর নিকট আবেদন করেছেন। ধারনা করা হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে গুদামটি চালু হবে বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে। ১৯৭৮ সালে এই গুদামটি সাহেবরামপুরে নির্মান করার জন্য ততকালিন মন্ত্রী কামাল ইবনে ইউসুব, ও মান্নান সিকদার দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নেন। দাতাসংস্থা দেশ কানাডার প্রতিনিধি মাইকেল ক্যাথেলীন তিনি গুদাম নির্মানের জমিদেখার জন্য মাদারীপুর থেকে ট্রলার যোগে সাহেবরামপরে যাওয়ার পথে খাশেরহাটের সামনে এসে নদীতে জেলেদের ইলিশ মাছ ধরতে দেখে তিনি ইলিশ মাছ খাওয়ার মত প্রকাশ করেন। ওখান থেকে ইলিশ মাছ কিনে সাহেবরামপুর গিয়ে ঘি দিয়ে রান্নাকরে তিনি খান। সেখান থেকে ফিরে কানাডার প্রতিনিধি মেহের মুনসুর তৎকালিন (ডিসি ফুট মাদারীপুর) তার কাছে মত প্রকাশ করলেন খাশেরহাট বন্দর একটা ভাল যায়গা নদীর পাসে ওখানে কেন গুদাম নির্মান করা যাবেনা। তখন মজিবুর রহমান মন্টুর নিকট ডিসিফুট বল্লেন তুমি জমি দিতে পারবা কিনা, জমিদিতে পারলে তোমাদের ওখানেই গুদাম নির্মান করা হবে। তখন মন্টু সরদার তাকে বললেন আমাকে একদিনের সময় দিলে আমি আপনাকে জানাতে পারবা। নদীর পাসে আমাদের জমি না থাকায় আমার বাবা মৃত হাজী হাসেম সরদার ও মজিবার খাঁর চাচা হাসমত আলী খাঁর সাথে জমির এওয়াজ করে দুজনে মিলে সরদার ও খাঁ বংশের প্রায় ২০/২৫ জনের কাছ থেকে ১একর ৬৬ শতাংশ জমি দান দলিল দিয়ে এই খাদ্যগুদাম নির্মান করা হয়। ঐ সময় মান্নান সিকদার (মন্ত্রী) আমার সাথে রাগ করে ছিলেন আমি এক পর্যায়ে চাকুরী ছেড়ে চলে এসেছিলাম এই খাদ্যগুদামটির জন্য পরে তিনি আমাকে ডেকে পাঠালে আবার চাকুরীতে যোগদান করি। এই গুদামটি নদীর পাশে হওয়ায় এখান থেকে গম,চাল বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়। গুদামটি চালু হলে এখানে অনেক বেকার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এই সরকারের প্রধান কাজ হিসেবে বেকার সমস্য দুরি করনার্থে খাশেরহাট খাদ্যগুদামটি চালু করা প্রয়োজন। এলাকাবাসী উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন যতদ্রুত সম্ভব গুদামটি চালু করার ব্যবস্থা করে কিছুটা হলেও বেকার সমস্যা দুর করার ব্যাবস্থা করবেন।
খাশেরহাট বন্দর বনিক সমিতির সাধারন সম্পদক মজিবুর রহমান খাঁ বলেন, আমরা আমাদের জমি দান করে গুদাম নির্মানের ব্যাবস্থা করেছি। দীঘ ৮বছর হল গুদামটি বন্ধ আছে এটা চালু হওয়া জরুরী। সরকারের কাছে আবেদন এটা চালু হলে এখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে।তাই যতদ্রুত সম্ভব খাদ্যগুদামটি পুনরায় চালু করা হোক।
খাশেরহাট বন্দর বনিক সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান মন্টু সরদার বলেন, বাশগাড়িতে আচকে যে প্রতিষ্ঠান গুলো দেখতেছেন তার সকল সম্পত্তি সরদার আর খান বংশের। দানকৃত জমিতে খাদ্যগুদাম,হাসপাতাল,পুলিশ তদন্তকেন্দ্র,তহসিল অফিস,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন সহ খাশেরহাট বন্দর নির্মিত হয়েছে। সরদার ও খান বংশের দীর্ঘ ৮০ বছরের শত্রুতার অবসান ঘটাইয়া আমি আর মজিবার খান একই সাথে একটেবিলে বসে চা খাই। আমরা যদি একসাথে থাকি আমরা এই বাশগাড়িতে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান করতে পারবো। আমি কথাগুলো এই কারনে বল্লাম আমরা জমি দিয়েছি প্রতিষ্ঠানের নামে সেটা যদি বন্ধ থাকে তাহলে আমাদের জমি গুলো আমাদের ফিরিয়ে দেয়া হোক। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করবো যতদ্রুত সম্ভব খাদ্যগুদামটি চালু করার ব্যাবস্থা করে কিছু লোকের বেকারত্ব ঘোচান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন