সোমবার, ১৮ জুন, ২০১২

ওসি শাহীন মন্ডলের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেয়ায় ফের আটক!

কালকিনি অফিস :
কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন মন্ডলের অনিয়ম তদন্তে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে থানায় ৩ দিন আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনার স্বাক্ষী দেয়ায় ফের হানিফ সিকদার নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ক্ষীপ্ত হয়ে ওসি শুক্রবার জুমার নামাজের শেষে ওই যুবককে আটক করে পরেরদিন সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠিয়েছেন। আটককৃতের পরিবারের অভিযোগ, আটকের পর তাকে এবারো নির্যাতন করা হয়েছে। 
জানা গেছে, যোগদানের পর থেকে ওসি শাহিন মন্ডল বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে কালকিনি পৌরসভার মেয়র এনায়েত হোসেন পুলিশ হেডকোয়াটার্সে অভিযোগ দেন। অভিযোগ তদন্তে ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গত ৩০ মে সরেজমিনে তদন্তে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ মার্চ উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের বড় চরকয়ারিয়া গ্রামের মালেকা বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ২৯ এপ্রিল থানায় নিয়মিত মামলা হলে ২ এপ্রিল একই এলাকার মোশাররফ আকনের ছেলে আরিফ আকন ও মান্নান শিকদারের ছেলে হানিফ শিকাদারকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের নামে তিন দিন থানায় আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়।
ওই দতন্ত কমিটির কাছে নির্যাতিত হানিফ সিকদার তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। তদন্ত কমিটি তার বক্তব্য লিখিতাকারে স্বাক্ষ্য নেন। বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেয়ায় ওসি শাহীন মন্ডল আবারো ঐ একই ঘটনায় হানিফ সিকদারকে আটক করেছে।
আটককৃত হানিফ সিকদার সাংবাদিকদের জানান, ‘হত্যাঘটনার সাথে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য ওসি ৪ জন পুলিশ দিয়ে আমার পাঁয়ের নিচে ও হাঁটুতে পিটিয়ে জখম করেছে।’ হানিফের মা হনুফা বেগম বলেন, ‘পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কালকিনিতে আসলে হানিফকে ওসি স্বাক্ষী না দিতে বলেছিলেন। তার নির্দেশ না মানায় হানিফকে আবারো আটক করেছেন। এবারো তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।’  
এ ব্যাপারে ওসি শাহিন মন্ডল জানান, ‘এসপি স্যারের নির্দেশে হানিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেয়ার ঘটনায় তাকে আটক করা হয়নি।’
মাদারীপুর পুলিশ সুপার নজরুল হোসেনের মুঠোফোনে হানিফের আটকের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ফোন রেখে দেন। পরে তিনি ফোন করে জানান, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ কাকে আটক করবে বা ছাড়বে তা আপনারা (সাংবাদিক) জানতে চান কেন? এটা আপনারা জানতে চাইতে পারেননা। পুলিশ নিরীহ কাইকে হয়রানী করেনা।

গৌরনদীতে নিপা খুনিদের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ : লাশ সৎকার

                               
  গৌরনদী  থেকে মোঃ বদরুজ্জামান খান
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দোনারকান্দি গ্রামে যৌতুকের বলি কিশোরী গৃহবধু নিপা রানীর লাশ রোববার গভীর রাতে বাপের বাড়িতে সৎকার করা হয়েছে। নিপার খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে রোববার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বখাটে দিপঙ্করের প্রতি অন্ধ ভালবাসার টানই কাল হল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল অজপাড়া’গা খ্যাত দোনারকান্দি গ্রামের কিশোরী গৃহবধূ নিপা অধিকারী (১৫)র জীবনে। উশৃংখল ও বখাটে দিপঙ্কর সরকারের ভালবাসার দাম হিসেবে পাষন্ড স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ী কর্তৃক তার উপর ধার্য করা হয়েছিল ২ লাখ টাকা। পিতার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় বিয়ের মাত্র এক বছরের মাথায় গত শনিবার রাতে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের  নির্যাতনের মুখে নিজের জীবন দিয়ে ভালবাসার দাম দিতে হয়েছে তাকে।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে  সরেজমিনে অধিকারী’র বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নিহত কিশোরী গৃহবধূ নিপা রানীর পিত্রালয়ের উঠানে জড়ো হয়ে এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ নিপার শোকাচ্ছন্ন পিতা মাতাকে শান্তনা দিচ্ছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি বুঝতে পেরেই তারা সকলেই নিপা’র খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত এ প্রতিনিধিসহ স্থানীয় তিন সাংবাদিকের সাথে  ওই গ্রামে কথা হয় নিহত গৃহবধুর স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী ও এলাকার জন প্রতিনিধিদের সাথে। তারা সকলেই এক বাক্যে বলেন, দিপঙ্কর এলাকার বখাটে ও উৎশৃখল ছেলে। তাদের পরিবারের কেউই ভাল লোক না। নিপার হত্যাকারী দিপঙ্কর, তার পিতা, মাতাসহ পুরো পরিবারটির কঠিন সাজা হওয়া উচিৎ। আমরা ওদের ফাঁসি চাই। নিপার দাদা হরিবর অধিকারী (৮৫) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার নিস্পাপ নাতনীকে যারা খুন করেছে  আমি যেন বেচে থাকতে ওই খুনিদের ফাঁসি দেখে যেতে পারি ভগবানের কাছে এই প্রাথর্ণা করছি। কথা হয় ওই এলাকার মনোরঞ্জন ঢালী (৫০), নির্মল মলি¬ক (৪৫), অরুন করাতি (৪৮), নিখিল মলি¬ক (৪৫). সেন্টু সরদার (৪৯), শুশিলা অধিকারী (৭০), মিনতী গাইন (৩৮), আলোরানী হালদার (৫০), স্বরজনী অধিকারী (৮০),র সঙ্গে। তারা সকলেই নিপার খুনিদের ফাঁসির দাবি করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য অনিল মলি¬ক বলেন, ওই গ্রামের নির্মল অধিকারী মোটামুটি স্বচ্ছল গৃহস্থ। গৃহস্থলী কাজের মধ্যে স্ত্রী উর্মিলা অধিকারী ও ৩ কন্যা মিতু অধিকারী (১৬), নিপা অধিকারী (১৪), অতশী অধিকারী (১০) ও ১ পুত্র শাওন অধিকারী (১২)কে নিয়ে বেশ সুখেই কাটছিল তার দিন। ৪ সন্তান নিয়ে সুখের সংসারের মেঝ কন্যা নিপার বয়স ১৪ বছর হলেও তার দৈহিক গঠনে সে বেশ বড় হয়ে ওঠে। এ কারণে প্রতিবেশী বখাটে যুবক দিপঙ্করের নজরে পরে নিপা ওপর।  জেএসি পরীক্ষার্থিনী কিশোরী নিপা (১৫) গত এক বছর পূর্র্বে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ২০১১ সালের ২১ মে প্রেমের টানে বখাটে প্রেমিক প্রতিবেশী দিপংকর সরকার (২০) এর হাত ধরে পিতার ঘর থেকে সাড়ে ৪ ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে উধাও হয়ে যায়। অনেক খোজাখুজির পর নিপার পিতা জানতে পারেন প্রতিবেশী দিন মজুর শ্রীকৃষ্ণ সরকারেরর বখাটে পুত্র দিপঙ্কর সরকার (২৪) তার কন্যা নিপাকে নিয়ে পালিয়েছে। ঘটনার ২ দিন পর ওই বছরের ২৩ মে নিপার পিতা বাদী হয়ে দিপংকর ও তার পিতা-মাতাসহ  ৭ জনকে আসামি করে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। আদালতের ওযারেন্ট পেয়ে পুলিশ পাশ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার রাজার চর গ্রামের এক নিকট আত্বীয়ের বাড়ি থেকে অপহৃত নিপাকে উদ্ধার ও দিপঙ্করকে গ্রেফতার করে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক দিপঙ্ককরকে জেল হাজতে ও ভিকটিম নিপাকে সেফ কাষ্টডিতে পাঠিয়ে দেন। এর ১৫/২০ দিন পর আদালত দিপঙ্করকে জামিন দেয়। ভিকটিম নিপা প্রায় তিন মাস সেফ কাষ্টডিতে থাকার পর তার পিতার জিম্মায় জামিন পেয়ে পিত্রালয়ে ফিরে আসে। এরপর পিতার আশ্রয়ে কয়েক দিন কাটানোর পর নিপা পুনঃরায় বখাটে দিপঙ্করের হাত ধরে পিত্রালয় থেকে পালিয়ে যায়। নিপার পিতা তখন নিপাকে উদ্ধারে অরেকটি মামলা দিলে দিপঙ্কর আদালতে হাজির হয়ে ওই মামলাতে জামিন পেয়ে যায়। কিন্তু নিপাকে আদালত জামিন না দিয়ে পূর্ণঃরায় সেভ কাষ্টডিতে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত বখাটে দিপঙ্কর স্থানীয় টাউটদের পরামর্শ নিয়ে নিপার পরিবারকে জব্দ করতে নিপাকে বাদী বানিয়ে তার পিতা নির্মল অধিকারী, মাতা উর্মিলাসহ পরিবারের  সদস্যদের বিরুদ্ধে নিপার গর্ভের একটি ভ্রুন হত্যার মিথ্যা মামলা দেওয়ায়। এ ঘটনার পর এলাকার মাতুব্বর প্রবীর মলি¬কেে আহব্বানে গ্রাম্য মাতুব্বররা উভয় পরিবারকে নিয়ে একটি গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বসে। মাতুব্বর হেমন্ত অধিকারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সালিশ বৈঠকে হরিপদ মলি¬ক, অবিনাশ সরকার, প্রবীর মলি¬¬ক, চিত্তরঞ্জন সরকারসহ ৮জ  গ্রাম্য মাতুব্বর উপস্থিত ছিলেন। কয়েকজন। সালিশ বৈঠকে স্থানীয় মাতুব্বররা উভয় পরিবারকে সামাজিক ভাবে মিলিয়ে দিয়ে দু পক্ষের মামলা তুলে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নিপার পিতা শোকাহত নির্মল অধিকারী অভিযোগ করেন, সালিশ বৈঠকের বিচারের রায় মেনে নিয়ে তিনি নিপার জামিনে সহয়তা করে তাকে স্বামীর গৃহে ফেরার ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু তার বখাটে স্বামী দিপঙ্কর নিপাকে হাতে পেয়ে আমাকে ও আমার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের জব্দ করতে আমাদের বিরুদ্ধে নিপাকে দিয়ে করানো ভ্রুন হত্যার মিথ্যা মামলাটি তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। দিপঙ্কর ও তার পরিবারের সদস্যরা মামলার খরচ বাবদ নিপাকে আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক নিতে বলে। এ নিয়েই প্রথম শুরু হয় দিপঙ্করের সাথে নিপার পারিবারিক কলহ। যৌতুকের টাকার দাবিতে আমার মেয়েকে প্রায়ই মারধর করত দিপঙ্কর। ঘটনার দিন গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্বামী দিপঙ্কর ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন মামলার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমার কাছ থেকে নিপাকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে নিপার সাথে পিড়াপিড়ি শুরু করে। দাবিকৃত যৌতুকের ২ লাখ টাকা এনে দিতে রাজি না হলে স্বামী দিপঙ্কর সরকার, শ্বশুর শ্রীকৃষ্ণ সরকার, শাশুড়ী রিতা রানীসহ পরিবারে অন্যান্য সদস্যরা মিলে নিপাকে মারধর করতে থাকে। এ সময় নিপার ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরাসহ আমরা ছুটে গেলে আমাদেরকে ঘরে ঢুকতে বাধা দিয়ে দিপঙ্কর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর নিপার উপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে নিপা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। শ্বশুর পরিবারের লোকজন তখন তাকে রিকশাভ্যানে তুলে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে রওনা হয়। পথিমধ্যে নিপা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তখন শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিপা বিষ পানে আতœহত্যা করেছে বলে এলাকায় প্রচারনা চালায়। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে নিপার লাশ তার শ্বশুর বাড়ির উঠানে ফেলে রেখে তার স্বামী দিপঙ্করসহ শশুর পরিবারের লোকজন গাঢাকা দেয়। আমরা ঘটনা যানতে পেরে ওই রাতে ঘটনাস্থলে এসে মেয়ের লাশ উঠানে পরে থাকতে দেখি।  পুলিশকে খবর দিলে ওই রাতেই নিপার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন রোববার সকালে আমার ছোটভাই পরিমল অধিকারী বাদী হয়ে নিপার ঘাতক স্বামী দ্বিপঙ্কর সরকার, শ্বশুর শ্রীকৃষ্ণ সরকার, শাশুড়ী রিতা রানী, আত্মীয় বিপ¬ব সরকার, সুভাষ সরকারসহ ৬ জনকে  আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ছবির ক্যাপশন-
গৌরনদীঃ সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে উপজেলার দোনারকান্দি গ্রামের গৃহবধূ নিপার পিত্রালয়ের উপস্থিত শতাধীক গ্রামবাসী খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান।

ফলোআপ সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের হস্তক্ষেপে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার ও মাছের ঘের বন্ধ ঘোষণা!

কালকিনি অফিস :
কালকিনি পৌরসভার ঝুরগাঁ, নয়াকান্দি, খলিসাডুবি ও পাতাবালী ইরি ব্লকের ৪ গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুইশ’ বিঘা জমি দখল করে মাছের ঘের করার জন্য উপজেলা যুবলীগ সভাপতির ভাই সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হুমকি দিয়ে জোর করে ষ্টাম্পে সাক্ষর নেয়ার অভিযোগের সংবাদ সাপ্তাহিক কালকিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের টনক নড়ে। এতে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে চার গ্রামের লোকজন ডেকে মাছের ঘের ও নিরহ মানুষের ওপর নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের বন্ধ ঘোষণা দিয়েছেন। ঘের বন্ধের কথা শুনে এলাকাবাসী আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিন ও ভুক্তভোগীদের সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান হাওলাদারের ছোট ভাই রিফাত হোসেন হাওলাদার, মাখন লাল বল, মুরাদ হোসেন বেপারীসহ সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুইশত বিঘা জমি দখল করে মাছের ঘের করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে অত্যাচার করে ষ্টাম্পে স্বাক্ষর করাচ্ছেন। একেক জনকে আলাদাভাবে আটকিয়ে মারধর করে জোর জবরদস্তি এ কাজ করছেন বলে সংখ্যালগু সম্প্রদায় সাপ্তাহিক কালকিনিকে জানিয়ে ছিলেন।
গত ১১ জুন সাপ্তাহিক কালকিনি খবরটি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের যৌথ উদ্যোগে ১৪ জুন ঝুরগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ৪ গ্রামের মানুষ জনকে উপস্থিত করে ঐ এলাকায় ঘের হওয়া-না হওয়ার ব্যাপারে কন্ঠভোট নেয় এতে হিন্দু মুসলিম সকলে একযোগে না বলেন। সকলের উপস্থিতিতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ শাহরিয়াজ ঘোষণা করেন এই ৪ গ্রামে মধ্যে কেউ মাছের ঘের করতে পারবেনা যেহেতু ঘেরের পক্ষে কেউ নেই। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপিকা তহমিনা সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, সহ-সভাপতি খায়রুল আলম খোকন বেপারী, মতিন সরদার, যুবলীগ সভাপতি মনির হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক সরদার, ইমারত নির্মাণ ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি, সরদার মোঃ লোকমান হোসেন, বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান মসিউর রহমান সবুজ, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি মস্তফা ঘরামী, লক্ষন শিকদার, সনাতন মাষ্টার, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ দাদন সরদার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান হাওলাদার উপস্থিত সকলকে বলেন, আমার ভাই এখানে মাছের ঘের করতে এসেছে- আপনারা কেন আমাকে জানাননি আমি জানলে এত ঘটনা ঘটতে পারতো না। আপনারা যখন ঘের চাইছেন না তখন কেউ এখানে মাছের ঘের করতে পারবে না।
সরদার মোঃ লোকমান হোসেন ও মসিউর রহমান সবুজ বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত, এদেরকে যারা অত্যাচার নির্যাতন করে তারা কেউ দলের মঙ্গল চায়না । অতএব দ্বিতীয়বার ঘেরের নাম নিলে তাদেরকে দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে আইনের হাতে তুলে দেয়া হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক,বলেন, এখানে কোন ব্যাক্তি বা কোন গোষ্টি মাছের ঘের করতে পারবেনা। এর পর  সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের উপর যারা অত্যাচার নির্যাতন চালাতে আসবে তাদের আইনের হাতে তুলে দেয়া হবে।     

গৌরনদীতে বর পক্ষের ওপর কনে পক্ষের হামলায় আহত ৭

গৌরনদী প্রতিনিধি :
বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে খাবার বিনষ্টের ঘটনায় বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতির জের ধরে গত শনিবার বিকেলে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে কনে পক্ষের হামলায় বর পক্ষের কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের জেন্নাত আলী সরদারের পুত্র সান্টু সরদারের সাথে পার্শ্ববর্তী বাঘমারা গ্রামের হানিফ ফকিরের কন্যা সিমা আক্তারের বিবাহোত্তর বৌ-ভাত অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় অনুষ্ঠানের খাবার বিনষ্টের ঘটনায় কনের পক্ষের ইমাম ঢালী, কামাল দালাল, শুকুর দালালের সাথে বরের খালাতো ভাই কামাল সরদারের বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠান শেষে কামাল সরদার তার পরিবারের লোকজন নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে ইমাম ঢালী, কামাল দাল্লা ও শুকুর দালালের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন যুবক কামাল সরদার ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলায় কামাল সরদারসহ তার পরিবারের কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়। গুরুতর আহত কামাল সরদার, সোহেল সরদার, নুরুন্নাহার বেগম, রাজিয়া সুলতানা, সুফিয়া বেগম ও শিল্পী বেগমকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত কামাল সরদার বাদী হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় গৌরনদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে গৌরনদী থানার এস.আই গাজী শামীম জানান, অভিযোগের তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাপ দিয়ে চাঁদাবাজি!

এইচ এম মিলন :
‘কলেজে আসব, কিন্তু আসতে পারিনা। গেট দিয়ে ঢুকতে পারিনা। ঢুকতে গেলেই বেদে মহিলারা গায়ের জামা টেনে ধরে বলে- এ ভাই ২০ টাকা দে মোরে। টাকা দিতে না চাইলে, ছোট একটি বাক্স থেকে জাতি সাপের বাচ্চা বের করে সামনে ধরে। তখন যেভাবেই হোক ভয় পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে বেদে মহিলাদের টাকা দিতে আমাদের বাধ্য হতে হয়। প্রতিদিন এরকম সাপের ভয় দেখিয়ে ছাত্রসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বেদে মহিলারা জোড় পূর্বকভাবে চাঁদা আদায় করে। এটাতো ভয়ঙ্কর চাঁদাবাজি।’ কথাগুলো ভয়ে ভয়ে বিরক্তিকর সুরে বললেন কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী পলাশ হোসেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কালকিনি পৌর এলাকার পালরদী নদীর পাড়ে বসবাস করছে বেদের দলের লোকজন। বেদের পল্লী থেকে আসা বেদে মহিলারা উপজেলার সকল সরকারি- বেসরকারি অফিসের সামনে ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে সাপের ভয় দেখিয়ে প্রতিদিন প্রত্যেক লোকজনের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয়। এতে করে সাধারণ মানুষের চরম বিপাকে পড়তে হয়। বেদে মহিলাদের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ ভীতস্থ হয়ে তাদেরকে দেখলে রাস্তা থেকে দৌড়ে পালায়। এদের বিরক্তিকর চাঁদাবাজির কারণে উপজেলার সকল শ্রেণির লোকজন চাঁদা দেওয়ার ভয়ে অনেকেই রাস্তায় ওঠাই বন্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে বেদে পল্লীর বেদে রানী বেগমসহ ৩-৪ জনের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, মোরা পেটের দায়ে সাপ দেখিয়ে যে টাকা পয়সা কামাই হয় তা দিয়ে মোরা সংসার চালাই। তা না হলে মোরা পুতপরিজন নিয়ে বাইচ্চা থাহা বড় কষ্ট। এ ছাড়া মোরা টাকা পয়সা পামু কই।

সোমবার, ১১ জুন, ২০১২

কালকিনিতে গাজা ও ইয়াবাসহ দুই জন আটক

কালকিনি অফিস :
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের ক্রোকিরচর কালুর ব্রীজ থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায়  গাজা ও ইয়াবাসহ দুই যুবককে  আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে কালকিনি থানা পুলিশ।
জানা যায়, কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের ক্রোকিরচর কালুর ব্রীজ থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায়   গাজা ও ইয়াবা বিক্রি করার সময়  রমজানপুর  ইউনিয়নের চরআইর কান্দি গ্রামের হাজি শওকত সরদারের ছেলে সাইফুল (৩২) ও রমজানপুর ইউনিয়নের মহিষমারী গ্রামের সিরাজ খানের ছেলে মিলন (৩৮) কে আটক কওে পুলিশ। পুলিশ সাইফুলের কাছ থেকে ৫০ গ্রাম গাজা ও মিলনের কাছে থেকে ১৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে গতকাল রবিবার কালকিনি থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি  মামলা করে তাদের  জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এব্যাপারে কালকিনি থানার উপপরিদর্শক হাসান বলেন,‘দু’জনকে গাজা ও ইয়াবা বিক্রির সময় আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পৌরসভায় যৌতুক লোভী স্বামীর কান্ড

এইচ এম মিলন :
মোর বিয়ার বয়স দুই বছর, স্বামীর চলা ফেরা এবং কি চরিত্র ভালো না। সময় অসময় নাই  তাস, জুয়া খেলিয়া নেসা করিয়া আজে বাজে মেয়েদের সাথে মেলা মেশা করিয়া রাতে বাড়ি ফেরে। মুই বাধা দিলে মোর হাত-পা বেধে চুলের মুটকি ধরে রাত ভর মাড় ধোর করে। আর বলে আমার এ সব কাজে বাধা দিলে তোর বাবা বাড়ি থেকে দুই লক্ষ টাকা আনবি নইলে তোরে খুন কইরা ফেলাইমু। মোর বাবা মা নাই মুই অসহায় এত টাকা কোথায় পাইমু। এ যৌতুকের টাকা না দিতে পেরে মুই দিনের পর দিন নির্যাতন সইতে না পেরে এর কোন সঠিক বিচার না পেয়ে পালিয়ে খালুর বাড়িতে আশ্রায় নিয়াছি। ভাই মোরে আপনারা যৌতুক লোভী স্বামীর হাত থেকে বাচান। কথা গুলো কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন, মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার লক্ষিপুর পখিরা গ্রামের শামিম আরা বেগম-(১৯)।
গতকাল রোববার সকালে এলাকা, অভিযোগ ও মামলা সুত্রে যানা গেছে, পৌর এলাকা লক্ষিপুর পখিরা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে শামিম আরার সাথে একই এলাকার আঃ ছালাম ঢালীর ছেলে খায়রুল আলমের ইসলামী শরীয়াত মোতাব্কে রেজিঃ কৃত ভাবে  আনুষ্ঠানিকের মধ্যে দিয়ে গত ১৬/০৯/২০১০ সালে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের সময় স্বর্নের গহনাদি ও খায়রুল আলমকে নগদ ৭০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এর পর থেকে দুজনের সংসার ভালো ভাবেই চলতে থাকা অবস্থায় খায়রুল বিভিন্ন মেয়েদের সাথে খারাপ কাজ ও তাস জুয়া খেলায় মেতে ওঠে। এ সব কাজে সামিম আরা বাধা দিলে তাকে বাবা বাড়ি থেকে দুই লক্ষ  টাকা আনার জন্য বার-বার চাপ দিতে থাকে। এ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে খায়রুল,তার ভাই সাইফুল ও মা বিউটি বেগম মিলে শামিম আরাকে বেদম ভাবে মাড় পিট করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে কালকিনি বেবির হাসপাতাল চিৎকিসা করানো হয়। এর পর সামিম আরা মৃত্যুর ভয়ে পালিয়ে তার খালু বাশার মুন্সির বাড়িতে বর্তমানে আশ্রায় নেয়। এ ব্যাপারে শামিম আরা বাদী হয়ে মাদারীপুর কোর্টে ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, খায়রুল আলম-(২৬) সাইফুল ইসলাম-(২৯) ছালাম ঢালী-(৫০) বিউটি বেগম-(৪৫) ও শহিদুল ঢালী-(৪২)। এদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়া সত্বে ও কালকিনি পুলিশ এদের কাউকে গ্রেপ্তার করছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সামিম আরার খালু বাশার মুন্সি জানান, যেীতুকের জন্য এ অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে সামিম আরা পালিয়ে আমার বাড়িতে এসেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। এ ব্যাপারে খায়রুলের সাথে বার-বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

গৌরনদীতে ৬ দিন পর অপহৃত কিশোরী মুন্নী উদ্ধার

গৌরনদী প্রতিনিধি
অপহরনের ৬ দিন পর মঙ্গলবার গভীর রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কমলাপুর গ্রামের অপহৃত কিশোরী মুন্নী খানমকে  (১৬) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়,  গোপন সূত্রে খবর পেয়ে থানার একদল পুলিশ মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার সমরসিংহ গ্রামের আদমালী সরদারের বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই বাড়ি থেকে কমলাপুর গ্রামের অপহৃত কিশোরী মুন্নীকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেরে অপহরনকারীরা পালিয়ে যায়। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য গতকাল বুধবার দুপুরে মুন্নীকে বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। উলে¬ক্য, উপজেলার কমলাপুর গ্রামের হালান সরদারের কন্যা মুন্নী খানম (১৬) ৩০ মে বিকাল ৫টার দিকে মৃধা বাড়ির কাছে গেলে বিবাহিত জাকির সরদারের নেতৃত্বে ৪Ñ৫ জনে মুন্নী খানমকে অপহরন করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে অপহৃতার পিতা হালান সরদার বাদী হয়ে জাকির সরদারসহ ৬ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করে।

সিডিখান গৃহবধূ ধর্ষিত, ধর্ষক আটক

কালকিনি অফিস :
কালকিনিতে গৃহবধূকে ধর্ষণকালে জনতার হাতে আটককৃত ধর্ষককে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা তরিকা লঞ্চ থেকে বুধবার সকালে কালকিনি উপজেলার মিয়ারহাট লঞ্চঘাটে নামেন উপজেলার চরদৌলত খাঁন ইউনিয়নের নতুন চরদৌলত খাঁন গ্রামের এক গৃহবধূ (২৪)। তিনি বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় মিয়ারহাট এলাকার খালেক সরদারের বাড়ির নিকটে একটি পাটক্ষেতে জোর করে ওই গৃহবধূকে নিয়ে যায় একই এলাকার নুরুল হক সরদারের ছেলে খালেক সরদার (৩৫)। ধর্ষণকালে গৃহবধূর চিৎকারে এলাকাবাসী খালেক সরদারকে হাতেনাতে আটক করে থানায় খবর দেয়।
এ ব্যাপারে চরদৌলত খাঁন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া শিকদার বলেন, ধর্ষক খালেক সরদার এর আগেও এরকম একটি ঘটনা ঘটিয়েছিল, সেখানে তাকে ৭০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। গ্রামবাসীর সহায়তায় তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
থানার ওসি (তদন্ত) মোফাজ্জেল হোসেন মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা করার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে বাদী হয়ে খালেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

কালকিনিতে মাদ্রাসা শিক্ষকদের পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে দু’শতাধিক শিক্ষক অনুপস্থিত!

বিল্লাল হোসেন :
কালকিনিতে মাদ্রাসা শিক্ষকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রায় দু’শতাধিক শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় দেয়া সত্ত্বেও তাদের অনুপস্থিতিতে নানা রকম বিশ্লেষণ হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। উপস্থিত শিক্ষকদের অধিকাংশই জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকালে কালকিনি সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার মাঠে এই পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করেন লে: কর্ণেল (অব:) বজলুল করিম সেলিম। তিনি এই অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোক্তা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কয়েকজন মাদ্রাসাছাত্র গজল, হামদ্ পরিবেশন করেন। তারপর কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হলে বক্তব্য রাখেন কালকিনি সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুস সোবাহান, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আ: রাজ্জাক মোল্লা, বাংলাদেশ পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব শ.ম গোলাম কবির, লে: কর্ণেল (অব) বজলুল করিম সেলিম, ইউএনও শাহরিয়াজ, জেলা পরিষদের প্রশাষক মিয়াজ উদ্দিন খাঁন এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি আবদুস সোবাহান গোলাপ।
কালকিনি সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুস সোবাহান জানান, অনুষ্ঠানে ২৩৪ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা লিটু চ্যাটার্জী জানান, উপজেলায় ২৬ টি মাদ্রাসায় প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষক রয়েছেন।
সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানের রেজিষ্টার্ড খাতায় ২৩৪ জন শিক্ষকের স্বাক্ষর থাকলেও প্রায় অর্ধশতাধিক জেলা আওয়ামীলীগনেতা বজলুর রহমান মন্টু খাঁনের সাথে আসা কর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানে উপজেলা ও পৌর জামায়াতের আমীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বজলুল করিম সেলিম কালকিনি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান করেছেন। শিক্ষকদের নিয়ে তার এরকম অনুষ্ঠান রাজনৈতিক কৌশল বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
দাওয়াত পেয়েও অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে অধ্যাপক মেজর (অব) মজিবুর রহমান শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করেন। প্রার্থী হতে না পারায় তিনি শিক্ষকদের সাথে কোন যোগাযোগ রাখেননি। বজলুল করিম সেলিমও মনে হয় সেরকম কিছু করবেন, তাই ক্ষোভে অনুষ্ঠানে যাইনি।

যৌনকর্মীদের পতিতবৃত্তি বন্ধ না করা হলে হরতাল ধর্মধট অনশণের ঘোষণা দিলেন মাদারীপুর ইসলাহে কওম পরিষদ ॥ থমথমে ভাব বিরাজ করেছে মাদারীপুর যৌনপল্লিতে


কালকিনি অফিস:
পতিতাবৃত্তি বন্ধ না করা হলে হরতাল ধর্মঘট ও অনশণ কর্মসূচি ঘোষণা দিলেন মাদারীপুর জেলা ইসলাহে কওম পরিষদ। যৌনপল্লীসহ সকল প্রকার সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধের দাবীতে বিশাল গণসমাবেশ’ এই পোস্টারিং, মাইকিং ও জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন-গ্রাম পর্যায়ে কমিটি গঠন করে মাদারীপুরে গণসমাবেশের ডাক দেয় মাদারপুর জেলা ইসলাহে কওম পরিষদ নামে একটি সংগঠন। গতকাল রবিবার বেলা ২টায় জেলা সদর জামে মসজিদ ময়দানে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক কমিটি যৌনকর্মীদের পুর্নবাসন করার আশ্বাস দিলেও সমাবেশে বক্তরা যৌনপল্লী উচ্ছেদের আল্টিমেটাম দেয় সরকারকে। কিছু দিনের মধ্যে যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ করা না হলে মাদারীপুরকে অচল করার হুমকিও দেয় কিছু কিছু বক্তা। এই ঘোষনায় পুরান বাজার যৌনপল্লীর ৫ শতাধিক যৌনকর্মী উচ্ছেদ ও হামলার আতঙ্কে রয়েছে। নিরাপত্তা চেয়ে তারা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছে। রবিবার সকাল থেকে এই যৌনপল্লীর পুরো এরাকায় প্রায় ২ শতাধিক পুলিশ মোতায়ন করা রয়েছে। তবে এই সমাবেশে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। এদিকে ইসলাহে কওম পরিষদের বক্তদের বক্তকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
গণ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, গওহরডাঙ্গার পীর হাফেজ মাওলানা ওমর আহমাদ ও বাহাদুরপুরের পীর মাওলানা আবদুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা ও পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান খান, সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, মাওলানা জাহিদুল আলম, মুফতি মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, গোলাম আযম ইরাদ প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলাহে কওম পরিষদের সভাপতি ও শাহমাদার দরগাহ শরীফের পীর আলহাজ্ব মাওলানা শরীফ মুজিবুল হক।
সমাবেশে জেলা ইসলাহে কওম পরিষদের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন কমিটির সহ-সভাপতি চন্ডবর্দীর পীর আলী আহমদ চৌধুরী। কর্মসূচির অংশ হিসেবে থাকবে আগামী ১২ জুলাই পতিতাদের বৈধ কর্মসংস্থান না করা হলে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি, ১৭ জুলাই আলোচনা সভা ও গণর‌্যালী ও ১৯ জুলাই রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে বিক্ষোভ মিছিল করবে। এছাড়া পতিতাবৃত্তি বন্ধ করা না হলে হরতাল ধর্মঘট এমনকি অনশনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে যৌনপল্লীতে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ ঘটতে পারে এই আতঙ্কে যৌনকর্মীদের জীবন ও মানবাধিকার রক্ষার দাবীতে নৌ-মন্ত্রী, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও গণমাধ্যমসহ মানবাধিকার রক্ষাকারী সংগঠনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন যৌনকর্মীরা। যৌনপল্লীর বাড়ির মালিক মমতাজ, পূর্ণিমা, লিজা, অনিছা, রিনাসহ অন্যান্য বাড়ির মালিক ও যৌনকর্মীদের স্বাক্ষরিত রয়েছে এই আবেদনপত্রে।
যৌনকর্মীদের সংগঠন বান্ধবী নারী সংঘ-এর সভাপতি মমতা রাণী কর্মকার সাংবাদিকদের বলেন, শহরের পুরানবাজার যে এলাকায় যৌনপল্লী আছে, তার অধিকাংশ জায়গার মালিক যৌনকর্মীরা। শহরের মাঝখানে কোটি কোটি টাকা মূল্যের এই সম্পত্তি। একটি স্বার্থান্বেষীমহল যৌনকর্মীদের মালিকানাধীন জমি দখল করার জন্যই এই পায়তারা চালাচ্ছে। এছাড়া আমাদের অন্যত্র পুর্নবাসন করার ব্যবস্থা করা হউক।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল হোসেন বলেন, যৌনপল্লীতে হামলার আতঙ্কে যৌনকর্মীরা নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত আবেদন করেছিল। গণসমাবেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

বুধবার, ৬ জুন, ২০১২

কালকিনিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে র‌্যালী ও আলোচনা সভা

এইচ এম মিলন :
যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের দাবীতে কালকিনির দক্ষিণ সিডিখান বঙ্গবন্ধু আদর্শ যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে গত রোববার সন্ধ্যায় সিডিখান এলাকায় একটি র‌্যালী প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ক্লাব মিলনায়াতনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সিডিখান ইউপি চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া শিকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ ফরিদ সরদার, সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লিটন, সিডিখান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আঃ হালিম মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আঃ আজিজ, সিডিখান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, যুবলীগ নেতা রাসেল বেপারী, মাসুম সরদার, শরিফুল শিকদার, জাফর মুন্সী ও সাহেবরামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা শিকদার মোহাম্মদ ইরান। বক্তারা যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের দাবী জানান।

যৌতুক লোভী স্বামীর কান্ড

এইচ এম মিলন :
মোর বিয়ার বয়স দুই বছর, স্বামীর চলা ফেরা এবং কি চরিত্র ভালো না। সময় অসময় নাই  তাস, জুয়া খেলিয়া নেসা করিয়া আজে বাজে মেয়েদের সাথে মেলা মেশা করিয়া রাতে বাড়ি ফেরে। মুই বাধা দিলে মোর হাত-পা বেধে চুলের মুটকি ধরে রাত ভর মাড় ধোর করে। আর বলে আমার এ সব কাজে বাধা দিলে তোর বাবা বাড়ি থেকে দুই লক্ষ টাকা আনবি নইলে তোরে খুন কইরা ফেলাইমু। মোর বাবা মা নাই মুই অসহায় এত টাকা কোথায় পাইমু। এ যৌতুকের টাকা না দিতে পেরে মুই দিনের পর দিন নির্যাতন সইতে না পেরে এর কোন সঠিক বিচার না পেয়ে পালিয়ে খালুর বাড়িতে আশ্রায় নিয়াছি। ভাই মোরে আপনারা যৌতুক লোভী স্বামীর হাত থেকে বাচান। কথা গুলো কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন, মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার লক্ষিপুর পখিরা গ্রামের শামিম আরা বেগম-(১৯)।
গতকাল রোববার সকালে এলাকা, অভিযোগ ও মামলা সুত্রে যানা গেছে, পৌর এলাকা লক্ষিপুর পখিরা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে শামিম আরার সাথে একই এলাকার আঃ ছালাম ঢালীর ছেলে খায়রুল আলমের ইসলামী শরীয়াত মোতাব্কে রেজিঃ কৃত ভাবে  আনুষ্ঠানিকের মধ্যে দিয়ে গত ১৬/০৯/২০১০ সালে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের সময় স্বর্নের গহনাদি ও খায়রুল আলমকে নগদ ৭০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এর পর থেকে দুজনের সংসার ভালো ভাবেই চলতে থাকা অবস্থায় খায়রুল বিভিন্ন মেয়েদের সাথে খারাপ কাজ ও তাস জুয়া খেলায় মেতে ওঠে। এ সব কাজে সামিম আরা বাধা দিলে তাকে বাবা বাড়ি থেকে দুই লক্ষ  টাকা আনার জন্য বার-বার চাপ দিতে থাকে। এ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে খায়রুল,তার ভাই সাইফুল ও মা বিউটি বেগম মিলে শামিম আরাকে বেদম ভাবে মাড় পিট করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে কালকিনি বেবির হাসপাতাল চিৎকিসা করানো হয়। এর পর সামিম আরা মৃত্যুর ভয়ে পালিয়ে তার খালু বাশার মুন্সির বাড়িতে বর্তমানে আশ্রায় নেয়। এ ব্যাপারে শামিম আরা বাদী হয়ে মাদারীপুর কোর্টে ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, খায়রুল আলম-(২৬) সাইফুল ইসলাম-(২৯) ছালাম ঢালী-(৫০) বিউটি বেগম-(৪৫) ও শহিদুল ঢালী-(৪২)। এদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়া সত্বে ও কালকিনি পুলিশ এদের কাউকে গ্রেপ্তার করছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সামিম আরার খালু বাশার মুন্সি জানান, যেীতুকের জন্য এ অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে সামিম আরা পালিয়ে আমার বাড়িতে এসেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। এ ব্যাপারে খায়রুলের সাথে বার-বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কালকিনিতে ৮বছর ধরে খাশেরহাট বন্দরের খাদ্যগুদাম বন্ধ!

শহিদুল ইসলাম :
কালকিনিতে ৮বছর ধরে খাসেরহাট বন্দরের খাদ্যগুদাম বন্ধ রয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। পুনরায় খাদ্যগুদামটি চালু করার আবেদন করেছে বণিক সমিতি ও এলাকাবাসী।
উপজেলা খাদ্যগুদাম অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলা সদরের সাথে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের যোগাযোগে বিছিন্ন থাকায় প্রত্যন্তাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাসেরহাট বন্দরে ১৯৭৮ সালে খাদ্যগুদাম 

কালকিনি উপজেলার বাশগারী ইউনিয়নের খাশেরহাট বন্দরের খাদ্যগুদামটি ফের চালু করার জন্য বনিক সমিতি ও এলাকার সাধারন মানুষ ডিসিফুট এর কাছে আবেদন করেছে। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্টিত খাদ্যগুদাটি ২০০৪ সাল পযর্ন্ত সুনামের সাথে এর কার্য্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গুদামটি দীর্ঘ ৮ বছর বন্ধ রয়েছে। নদীর পার ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য নদীর পারে ১৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ইট,বালু ও সিমেন্টের তৈরী ব্লক বিছানো হয়। হাটের দক্ষিন পাশ থেকে উত্তর দিকে ব্লক বিছানোর ফলে গত ৮ বছর ধরে নদী ভাঙ্গা বন্ধ আছে। নদী গবেষনাগারের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে আর নদীর পার ভাঙ্গবেনা। এছাড়াও আরিয়ালখা নদীর উপরে যে সেতুটি নির্মান হচ্ছে তার দুই সাইডে যে প্রাচির তৈরী করা হবে তা গুদামের কাছ পর্যন্ত চলে আসবে অতএব নদীর পার ভাঙ্গার আর কোন সুযোগ নেই। গুদামটি চালুকরার জন্য বনিক সমিতি ও স্থানীয গন্যমান্য ব্যাক্তিরা মাদারীপুর জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা (ডিসি ফুট) এর নিকট আবেদন করেছেন। ধারনা করা হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে গুদামটি চালু হবে বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে। ১৯৭৮ সালে এই গুদামটি সাহেবরামপুরে নির্মান করার জন্য ততকালিন মন্ত্রী কামাল ইবনে ইউসুব, ও মান্নান সিকদার দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নেন। দাতাসংস্থা দেশ কানাডার প্রতিনিধি মাইকেল ক্যাথেলীন তিনি গুদাম নির্মানের জমিদেখার জন্য মাদারীপুর থেকে ট্রলার যোগে সাহেবরামপরে যাওয়ার পথে খাশেরহাটের সামনে এসে নদীতে জেলেদের ইলিশ মাছ ধরতে দেখে তিনি ইলিশ মাছ খাওয়ার মত প্রকাশ করেন। ওখান থেকে ইলিশ মাছ কিনে সাহেবরামপুর গিয়ে ঘি দিয়ে রান্নাকরে তিনি খান। সেখান থেকে ফিরে কানাডার প্রতিনিধি মেহের মুনসুর তৎকালিন (ডিসি ফুট মাদারীপুর) তার কাছে মত প্রকাশ করলেন খাশেরহাট বন্দর একটা ভাল যায়গা নদীর পাসে ওখানে কেন গুদাম নির্মান করা যাবেনা। তখন  মজিবুর রহমান মন্টুর নিকট ডিসিফুট বল্লেন তুমি জমি দিতে পারবা কিনা, জমিদিতে পারলে তোমাদের ওখানেই গুদাম নির্মান করা হবে। তখন মন্টু সরদার তাকে বললেন আমাকে একদিনের সময় দিলে আমি আপনাকে জানাতে পারবা। নদীর পাসে আমাদের জমি না থাকায় আমার বাবা মৃত হাজী হাসেম সরদার ও মজিবার খাঁর চাচা হাসমত আলী খাঁর সাথে জমির এওয়াজ করে দুজনে মিলে সরদার ও খাঁ বংশের প্রায় ২০/২৫ জনের কাছ থেকে ১একর ৬৬ শতাংশ জমি দান দলিল দিয়ে এই খাদ্যগুদাম নির্মান করা হয়। ঐ সময় মান্নান সিকদার (মন্ত্রী) আমার সাথে রাগ করে ছিলেন আমি এক পর্যায়ে চাকুরী ছেড়ে চলে এসেছিলাম এই খাদ্যগুদামটির জন্য পরে তিনি আমাকে ডেকে পাঠালে আবার চাকুরীতে যোগদান করি। এই গুদামটি নদীর পাশে হওয়ায় এখান থেকে গম,চাল বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়। গুদামটি চালু হলে এখানে অনেক বেকার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এই সরকারের প্রধান কাজ হিসেবে বেকার সমস্য দুরি করনার্থে খাশেরহাট খাদ্যগুদামটি চালু করা প্রয়োজন। এলাকাবাসী উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন যতদ্রুত সম্ভব গুদামটি চালু করার ব্যবস্থা করে কিছুটা হলেও বেকার সমস্যা দুর করার ব্যাবস্থা করবেন।
খাশেরহাট বন্দর বনিক সমিতির সাধারন সম্পদক মজিবুর রহমান খাঁ বলেন, আমরা আমাদের জমি দান করে গুদাম নির্মানের ব্যাবস্থা করেছি। দীঘ ৮বছর হল গুদামটি বন্ধ আছে এটা চালু হওয়া জরুরী। সরকারের কাছে আবেদন এটা চালু হলে এখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে।তাই যতদ্রুত সম্ভব খাদ্যগুদামটি পুনরায় চালু করা হোক।
খাশেরহাট বন্দর বনিক সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান মন্টু সরদার বলেন, বাশগাড়িতে আচকে যে প্রতিষ্ঠান গুলো দেখতেছেন তার সকল সম্পত্তি সরদার আর খান বংশের। দানকৃত জমিতে খাদ্যগুদাম,হাসপাতাল,পুলিশ তদন্তকেন্দ্র,তহসিল অফিস,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন সহ খাশেরহাট বন্দর নির্মিত হয়েছে। সরদার ও খান বংশের দীর্ঘ ৮০ বছরের শত্রুতার অবসান ঘটাইয়া আমি আর মজিবার খান একই সাথে একটেবিলে বসে চা খাই। আমরা যদি একসাথে থাকি আমরা এই বাশগাড়িতে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান করতে পারবো। আমি কথাগুলো এই কারনে বল্লাম আমরা জমি দিয়েছি প্রতিষ্ঠানের নামে সেটা যদি বন্ধ থাকে তাহলে আমাদের জমি গুলো আমাদের ফিরিয়ে দেয়া হোক। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করবো যতদ্রুত সম্ভব খাদ্যগুদামটি চালু করার ব্যাবস্থা করে কিছু লোকের বেকারত্ব ঘোচান।

গৌরনদীতে ৬ দিন পর অপহৃত কিশোরী মুন্নী উদ্ধার

গৌরনদী প্রতিনিধি
অপহরনের ৬ দিন পর মঙ্গলবার গভীর রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কমলাপুর গ্রামের অপহৃত কিশোরী মুন্নী খানমকে  (১৬) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়,  গোপন সূত্রে খবর পেয়ে থানার একদল পুলিশ মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার সমরসিংহ গ্রামের আদমালী সরদারের বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই বাড়ি থেকে কমলাপুর গ্রামের অপহৃত কিশোরী মুন্নীকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেরে অপহরনকারীরা পালিয়ে যায়। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য গতকাল বুধবার দুপুরে মুন্নীকে বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। উলে¬ক্য, উপজেলার কমলাপুর গ্রামের হালান সরদারের কন্যা মুন্নী খানম (১৬) ৩০ মে বিকাল ৫টার দিকে মৃধা বাড়ির কাছে গেলে বিবাহিত জাকির সরদারের নেতৃত্বে ৪Ñ৫ জনে মুন্নী খানমকে অপহরন করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে অপহৃতার পিতা হালান সরদার বাদী হয়ে জাকির সরদারসহ ৬ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করে।

কালকিনিতে জাতীয় পুষ্টি কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা

জাহিদ হাসান:
মাদারীপুরের কালকিনিতে জাতীয় পুষ্টি কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৬ জুন(মঙ্গলবার) সকাল ১০ টায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষক প্রতিনিধি, ডাক্তার- নার্স ও সাংবাদিকদের অংশগ্রহনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন অফিসার ডা: মো: নোমান চৌধুরী। কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওচঐগ এর ন্যাশনাল রিসোর্স পারসন ডা: ইরফান নওরোজ নূর। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শাহরিয়াজ, অধ্যক্ষ মো: খালেকুজ্জামান, ডা: লতিফ মোল্লা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আ: রউফ, বি.এম. হেমায়েত হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল আলম, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমূখ। কর্মশালা পরিচালনা করেন উপজেলা আবাসিক মেডিকেল ডা: শামীম চৌধুরী।

কালকিনিতে দরপত্র ক্রয় নিয়ে হামলায় ঠিকাদার সহ আহত ৫

কালকিনি অফিস :
কালকিনিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দরপত্রের শিডিউল কিনতে গেলে বাঁধা দেয়ায় উভয়পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলজিইডি অফিসের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, ঠিকাদার রবিউল সরদার দরপত্র কিনতে গেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লিটন গুছ কমিটির (নিকো কমিটি) পক্ষে বাঁধা দেন এবং বাঁধা না মানায় রবিউল সরদারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়লে ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন, ইমারাত হোসেন ও রুবেলসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর বিকালে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এডিপি প্রকল্পের দরপত্র নং ১১ এর সিডিউল বিক্রয়ের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। রবিউল নামের এক ঠিকাদার সিডিউল কিনতে আসলে তার সাথে আরেক ঠিকাদার লিটনের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অফিসের বাহিরে হাতাহাতির কথা শুনেছি। এটা ঠিকাদারদের ব্যাপার। এতে আমাদের কিছু যায় আসে না।’ কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন মন্ডল জানান, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা চত্ত্বরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় লিটন নামের একজন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।’ এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত একবছর ধরে গুছ কমিটি সকল দরপত্র নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের সিদ্ধান্তের বাহিরে কেউ সিডিউল ক্রয় বা জমা দিতে পারে না।

কালকিনিতে যুবলীগ সভাপতির ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ।

কালকিনি:
মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার ঝুরগাঁ, নয়াকান্দি,খলিসাডুবি, পাতাবালী ইরি ব্লকের ৪ গ্রামের সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের দুইশত বিঘা জমি দখল করে মাছের ঘের করার জন্য উপজেলা যুবলীগ সভাপতির ভাই সন্ত্রাসী নিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে জোর করে ষ্টাম্পে সাক্ষর নেয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি শতাধিক হিন্দু পরিবারের লোক।
সরেজমিন ও অভিযোগকারী সুত্রে জানা গেছে, যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান হাওলাদারের ছোট ভাই রিফাত হোসেন হাওলাদার, মাখন লাল বল, মুরাদ হোসেন বেপারী সহ সন্ত্রাসীরা সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের দুইশত বিঘা জমি দখল করে মাছের ঘের করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে অত্যাচার করে ষ্টাম্পে সাক্ষর করাচ্ছেন। একেক জনকে আলাদা ভাবে আটকিয়ে মারধর করে জোর জবরদস্তি এ কাজ করছেন বলে অভিযোগ কারীরা জানিয়েছেন। গত ৪বছর আগে ঐ জমিতে জোর করে কতিপয় লোক মাছের ঘের করেছিলেন, তখন বিভিন্নভাবে সংখ্যালগু পরিবারের উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হত বলে তারা সাবেক পৌরসভা চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহিনের নিকট অভিযোগ করেছিলেন। যারা ঘের করেছেন তাদের ডেকে ঐ এলাকায় মাছ চাষ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন পৌর চেয়ারম্যান। উল্টো তারা বলেন যাদের জমি আছে তারা বেশীর ভাগই আমাদের পক্ষে আমরা তাদের কথায় মাছ চাষ করব। পৌর চেয়ারম্যান স্থানীয় কমিশনার নুরে আলম চৌকিদার, আবু বকর সরদার, লক্ষন শিকদার, সামচুল হক সরদার, সরদার মোঃ লোকমান হোসেন, সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে কালকিনি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার হলরুমে বসে ঘের হওয়া না হওয়ার পক্ষে বিপক্ষে ভোট নেন এতে ঘের না হওয়ার পক্ষে ৮০% লোক ভোট দিলে ঘের করা বন্ধ হয়। বর্তমান আওয়ামীলীগের উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মীর গোলাম ফারুক নির্বাচনী ইস্তেহার হিসেবে ঐ এলাকায় কেউ মাছের ঘের করতে পারবেনা বলে ঝুড়গাঁ বাজারে দুটি সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন। ৪ বছর পর ফের ঐ জায়গায় মাছের ঘের করার জন্য ক্ষমতাশিন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতির ভাই রিফাত হোসেন সন্ত্রাসীদের নিয়ে ষ্টাম্পে সাক্ষর করার নামে অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছেন। ঘের বন্ধের দাবিতে শতাধিক সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , উপজেলা চেয়ারম্যান ও মৎস্য অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন। সন্ত্রাসীদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে উর্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের পরিবার।
এ ব্যাপারে সাবেক পৌর চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহীন বলেন, গত ৪বছর আগে আমি খলিসাডুবি ও পাতাবালীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার নির্যাতন হতো বলে হা না ভোটের মাধ্যমে মাছের ঘের নিসিদ্ধ করেছিলাম। বর্তমানে কি পরিস্থিতি তা আমার জানা নাই।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার দত্ত অভিযোগের কথা শিকার করে বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ঐ এলাকায় মাছের ঘের চাননা বলে আমাকে জানিয়েছে।
উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহরিয়াজ জানান, বিষয়টি আমি দেখতেছি হিন্দুরা যদি ঘেরের জন্য জমি দিতে না চায় তাহলে সেখানে ঘের হবেনা।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মীর গোলাম ফারুক সাইন বোর্ডেও কথা শিকার করে বলেন, ঐ জায়গায় ঘের হবেনা আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে আমি তদন্তের জন্য কমিটি করে পাঠিয়ে দিয়েছি রির্পোট আসলে ব্যবস্থা নিব।

অভিযোগ কারী হিন্দু সম্প্রদায়ের নাম না প্রকাশ করার শর্ত জানিয়েছে।
১,পুনিল বিহারী ২,জিবন কৃষ্ণ শিকদার, ৩,রতন সরকার ৪,জগদিস মন্ডল ৫,বিরেন ৬,জয়দেব ৭, মুকুল শিকদার ৮,নিপুল শিকদার ৯,অনিল শিকদার ,১০, সিখর শিকদার ১১,ভগিরথ শিকদার ১২,তপন ১৩, প্রিয়লাল ,১৪,সতীশ চন্দ্র বাড়ৈ ১৫,নরেন ভক্ত ,১৬, হিরালাল ১৭,রুপচান, ১৮,কালাচান ১৯,অনিল ,২০, মহাদেব  সহ শতাধিক লোকের সাক্ষর করা অভিযোগ রয়েছে। 

শনিবার, ২ জুন, ২০১২

চুরি করা গরুর গোশত বিক্রয় করার অপরাধে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা

জাহিদ হাসান :
চুরি করা গরুর গোশত বিক্রয় করার অপরাধে গোশত বিক্রেতাকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উভয়পক্ষকে নিয়ে উন্মুক্ত শালিস মিমাংসায় এই টাকা ধার্য করেন শালিশকারীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের মিয়ারহাটে।
জানা গেছে, মিয়ারহাটের গোশত বিক্রেতা সুলতান খাঁন গত শুক্রবার সকালে গ
এঙ্গলবার বিকালে মিয়ারহট
শুক্রবার হাটের দিন গরুর গোশত বিক্রি করা হয়।
গরু বিক্রেতার নাম সুলতান খাঁ। বাড়ি ভবানীপুর, শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন।
মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার বিকালে বাজার কমিটির উদ্যোগে শালিস মিমাংসায় বসে।
বাজার কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এসকান্দার আলী খাঁন, সাধারণ সম্পাদক মফছের খাঁ। সহসভাপতি আনছার মৃধা। কোষাধ্যক্ষ আলাউদ্দিন খাঁ। সহসাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী সরদার।

কালকিনিতে সমকালের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

মিজানুর রহমান :
বৃহস্পতিবার সকালে কালকিনিতে দৈনিক সমকাল পত্রিকার ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সমকালের সুহৃদ সমাবেশের কালকিনি উপজেলা শাখার আয়োজনে আনন্দ র‌্যালী, আলোচনসভা, মিষ্টি বিতরণ ও চা চক্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রেসক্লাব চত্ত্বর থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অংশ গ্রহণে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালীটি শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। প্রেসক্লাব কার্যালয়ে দৈনিক সমকালের কালকিনি প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনসভায় বক্তব্য রাখেন ইউএনও শাহরিয়াজ, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ খালেকুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী, বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান মসিউর রহমান সবুজ, প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল আলম, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রহুল আমীন মীর সুজন, বিল্লাল হোসেন, প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সাংবাদিক শামীম হোসাইন, টি.এ কানন, বি.এ.কে মামুন, মেহেদী হাসান, মাইনুল ইসলাম প্রমূখ। পরে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণ ও চা চক্রের আয়োজন করা হয়।

গৌরনদীতে মাদক চক্র সক্রিয় ৩০টি স্পটে জমজমাট ব্যবসা

বদরুজ্জামান খান :
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদকচক্র । ৩০টি স্পটে অবাধে বিক্রি হচ্ছে মাদকদ্রব্য। মদ,গাঁজা,ফেন্সিডিল,ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে ১৫ হাজারেরও বেশী যুবক। এদের বেশির ভাগ স্কুল-কলেজের ছাত্র। প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় জনমনে নানা প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে।
সরোজমিনে জানা যায় ,উপজেলার ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ড,ইল¬া প্রি-ক্যাডেট স্কুল, সমেরসিংহ, মেদাকুল বাজার, গোসের হাট,খাঞ্জাপুর বাজার, তুলাতলা বাজার,বার্থী বাজার,কটকস্থল প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব বাউরগাতি সঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়  বেজগাতি স্ট্যান্ড,নীলখোলা স্কুল ,টরকী গরুর হাট,টরকী বাসস্ট্যান্ড ,টরকী চর বেদেপলি¬ ,গৌরনদী বাজার, গৌরনদী বসস্ট্যান্ড আশোকাঠি হেলিপোট, গৌরনদী নাহার সিনামা হল,রাজাপুর বাজার, মাহিলাড়া বাজার, বাটাজোর বাজার,  চন্দ্রহার বাজার, সরিকল বাজার,৩০টি স্পটে হঠাৎ করে মাদকদ্রব্য বিক্রি  ও ব্যবহার বেড়েগেছে । মাদকদ্রব্যেও সহজলভ্যতা ও অসৎ  সঙ্গই এর প্রধান কারন । মাদকদ্রব্য সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে অভিভাবক মহল ও সুশীল সমাজ। ২বছর যাবত আশঙ্কাজনক হারে মাদকদ্রব্য ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে যুবসমাজ। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়–য়ারা বেশি আসক্ত হচ্ছে। প্রতিমাসে আইন শৃংখলা  কমিটির সভায় মাদকদ্রব্য রোধে ব্যাপক আলোচনা হয়। এবং মাদকদব্যে বিক্রি ও অপব্যাবহার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্ত তার ফলাফল শূন্য ।  আশঙ্কজনক ভাবে  মাদকদ্রব্য বিক্রি ও ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। নাম প্রকাশে  অনিচ্ছুক কয়েকজন মাদকাসক্ত জানান, ফোন দিলেই মটর সাইকেল নিয়া আইসা হাতের  মধ্যে দিয়ে যায়। আমরা ছাড়া গৌরনদীর বড় বড় মানুষেরাও খায় । দুই একবার তাগো লগে আমরাও খাইছি। এগুলো এহন চাইলেই পাওয়া যায়। আপনার যদি লিইখা বন্ধ করতে পারেন  তাইলে আমরা  আর খামুনা। সংস্কৃতি কর্মী মোঃ ফিরোজ মাঝি  জানান,মাদক এখন হাথ বাড়ালেই পাওয়া যায়। তাই স্কুল কলেজগামী ছাত্র থেকে শুরু করে ভবঘুরে যুবকেরা আসক্ত হয়ে পড়েছে। আর ২শ-৩শ‘ টাকা লাভের আশায়  অনেকে বিক্রিও করছে।
টরকী বন্দর বর্নিক সমিতির সাধারন সম্পাদক রাজু আহম্মেদ হারুন জানান, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের দ্ধ্রত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম জানান, যারা মাদক বিক্রি করে বা সেবন করে কেউ আইনের উধ্বের্ নয়।সবাইকে গ্রেফতার করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গির হোসেন জানান, ‘গৌরনদীতে কোন মাদকদ্রব্য থাকবে না। আমরা সে ব্যবস্থা নিচ্ছি ।  সচেতন নাগরিক,শিক্ষক,সাংবাদিকসহ সকলকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াঁতে হবে। প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম খান বলেন,‘মাদক বিক্রিতা ও সেবনকারীরা যতই শক্তিশালী হোক এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এদের পিছনে যত বড় শক্তি থাকুক না কেন এদের মূল উপড়ে ফেলতে হবে। এক মাসের মধ্যে অভিযান চালিয়ে গৌরনদীবাসীকে মাদকমুক্ত করব।

কালকিনিতে নবগঠিত কাষ্টঘর তালুকদার বাড়ী নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠিত।


মেহেদী হাসান:
মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার কাষ্টঘর, কাসিমপুর, চরলক্ষী ও লক্ষিপুর পখিরা গ্রামের সমন্বয়ে গত ৩০ মে বুধবার সন্ধায় তালুকদার বাড়ীর গোলঘরে জনাকির্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে ষষ্ট থেকে অষ্টম শ্রেনি পর্যন্ত ৪ গ্রামের ছাত্র-ছাত্রিদের লেখা পড়ার সুবিধার্থে, বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কালকিনির কৃতি সন্তান সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদারের উদ্যোগে কাষ্টঘর তালুকদার বাড়ী নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম করনে একটি নবগঠিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসির সমর্থনে সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদারকে সভাপতি নির্বাচিত করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি ঘোষনা করা হয়। অন্যান্য সদস্য হলেন, হাজী মোঃ ওসমান সরদার, মোঃ মোসারফ সরদার, মোহাম্মাদ সরদার, মোঃ রব হাওলাদার, মোঃ হারুন মৃধা, মোঃ রশিদ সরদার, মোঃ আচমত বেপারী, মোঃ বশার মুন্সি, মোঃ মিজানুর রহমান আমিন, মোঃ দেলোয়ার হাওলাদার, মোঃ জাহাঙ্গীর তালুকদার ও মোঃ কবির তালুকদার প্রমুখ।  বিদ্যলয়ের ভবন নির্মানের জন্য সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদার, জাহাঙ্গীর তালুকদার ও কবির তালুকদার ৪০ শতাংশ জমি দান করেন।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান, রশিদ সরদার, দেলোয়ার হাওলাদার সহ গ্রামের কয়েকজন সাধারন মানুষ জানান, সোহাগ তালুকদার একজন আদর্শ মানুষ তার  কারনে আমরা পাকা রাস্তা দিয়ে হাটতে পারতাছি । আল্লাহর রহমতে সে একটি মসজিদ নির্মান করেছে। যে মসজিদটিতে এই এলাকার মানুষ আজীবন নামাজ পরে তাকে দোয়া করবে। তার মতো একজন মানুষ প্রতিটি গ্রামে থাকলে ঐ এলাকা কোন ছেলে-মেয়ে নিরক্ষর থাকবে না।
সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদার বলেন, “আমার এলাকা একটি অবহেলিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানের ছেলে-মেয়েরা লেখা-পড়া করতে ৪/৫ কিঃ মিঃ পায়ে হেটে কালকিনি,কালিগঞ্জ ও দড়িরচর লক্ষিপুর মাদ্রাসায় যেত এখানের রাস্তা ঘাট খুবই খারাব ছিল। আমি আমার সাধ্যমত এলাকার উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। স্কুলটা নির্মিত হলে শত শত ছেলে মেয়ে বাড়ির ভাত খেয়ে পড়া-লেখা করতে পারবে। আমাদের মন্ত্রী মহদয়ের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে। আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্টানটির ব্যাপারে তিনি সাহায্য সহযোগীতা করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।”

কালকিনিতে বই ও লিফলেটসহ হিজবুত তাওহীদের এক সদস্য আটক


শহিদুল ইসলাম:

মাদারীপুরের কালকিনির এনায়েতনগর ইউনিয়নের দরিচর গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বিপুল পরিমাণ বই ও লিফলেটসহ শহিদুল ইসলাম ফকির (৪৫) নামের হিজবুত তাওহীদের এক সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৮।
র‌্যাব-৮, সিপিসি-৩ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর ক্যাম্পের মেজর মো. জাহিদ হাসান খান পিএসসি এর নেতৃত্বে একটি টহল দল বৃহস্পতিবার রাতে কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের দরিচর গ্রামে অভিযোগ চালিয়ে মান্নান ফকিরের ছেলে শহিদুল ইসলাম ফকিরের বসতঘর থেকে প্রায় ৮৭টি বইসহ আটক করে।
উদ্ধার করা বই গুলো হচ্ছে দাজ্জালের বই ৭টি, ইসলাম ও পীরতন্ত্রের বই ১টি, পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির ১৩০টি কারণ এবং উহা দূর করার উপায়ের বই ১, ইসলামের প্রকৃত রূপরেখার বই ৫টি, জেহাত, কেতাল ও সন্ত্রাসের বই ১২টি, আল্লাহর মোজেজা হেযবুত তাওহীদের বিজয় ঘোষণার বই ২০টি, এ ইসলাম ইসলামই নয় এর বই ১টি, কোরআনের অপব্যাখ্যামূলক সদস্য পদ সংগ্রহ ফরম, প্রশিক্ষণ সহায়ক নির্দেশাবলী ৫০পিস, এসলামের প্রকৃত ফলের বই ২টি,  দাজ্জালের ডিভিডি সিডি ৮টি, নিষিদ্ধ ঘোষিত লিফলেট “প্রকৃত ইসলামের ডাক” প্রায় ১০০০ পিস, হিজবুত তাওহীদ সঞ্চয়পত্র ২টি, ডায়েরী ৩টি, হিজবুত তাওহীদের অডিও ক্যাসেট ৫টি, হিজবুত তাওহীদ অন্যান্য আরও ৩৭টি বই রয়েছে।
মাদারীপুর ক্যাম্পের মেজর মো. জাহিদ হাসান খান জানায়, আটক করা আসামী দীর্ঘদিন ধরে স্ব-পরিবারে হিজবুত তাওহীদ নামের সংগঠনের দাওয়াত ও কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আসামীসহ উদ্ধার করা মালামাল কালকিনি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।